সদ্য রনজি ট্রফি সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশকে ৩০৬ রাজ্যে উড়িয়ে দিয়ে জয়লাভ করেছে বাংলা। স্বভাবতই উচ্ছসিত বঙ্গ শিবির। রনজি ট্রফির অপেক্ষা আপাতত দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে ৩২ বছর ধরে। উচ্ছসিত সহকারী কোচ সৌরাশিষ লাহিড়ীও। সরাসরি ইন্টারভিউ দিলেন ইন্দোর থেকে।
প্রশ্ন:- কোচিংয়ের প্রথম বছরেই ফাইনাল। কেমন লাগছে?
সৌরাশিষ:- না এটা আমার দ্বিতীয় বছর। অবশ্যই ভালো লাগছে কারণ রনজি ট্রফির ফাইনাল একটা বড়ো জায়গা। সর্বোপরি দলটা একটা অসাধারণ দল। ঐজন্যই হয়তো আমরা এই জায়গায়। মনোজ অসাধারণ নেতা, লক্ষী অসাধারণভাবে তুলে ধরেছে দলকে। তোমরা অনেক সাপোর্ট করেছো। বাংলার মানুষরা এতো সাপোর্ট করেছে- সব মিলিয়ে ফল ভালো হয়েছে।
প্রশ্ন:- ওপেনিংয়ে অভিমন্যু ঈশ্বরণ, তিনে সুদীপ ঘরামি, চারে অনুষ্টুপ মজুমদার। এতো রান!
সৌরাশিষ:- পাঁচ নম্বরের লোকটাকে ভুলে গেলে?
প্রশ্ন:- মনোজ তিওয়ারি।
সৌরাশিষ:- গ্রেটেস্ট ইন দ্য বিজনেস!
প্রশ্ন:- এটা কি এক্স ফ্যাক্টর?
সৌরাশিষ:- সবার কান্ট্রিবিউশনই এক্স ফ্যাক্টর। এই টিমের ধারাবাহিকতা দুরন্ত। এটা নিয়ে ৯ সপ্তাহ দলের সঙ্গে আছি আমরা, কারোর পারফরমেন্স কোনো পড়তি নয় বরং গ্রাফ উর্ধমুখী।
প্রশ্ন:- ঈশান ছন্দে না থাকলেও আকাশদীপ দুরন্ত। এটা কতটা দলকে সাহায্য করেছে?
সৌরাশিষ:- আকাশদীপ আমার মতে টেস্ট কলআপের খুব কাছাকাছি। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনালে ম্যাচের সেরা হওয়া সহজ নয় এবং আমরা দেখেছি ও কি বোলিং করেছে। এই উইকেটে যেখানে হাঁটুর ওপর ওঠেনি সেখানে ও অপোনেন্টকে পরাস্ত করলো।
আমি মনে করিনা ঈশান ভালো করছে না, তবে ঈশান-সুলভ এখনও করেনি। তা সত্ত্বেও মুকেশ-শাহবাজ-আকাশ ঘটক বল করেছে তা অসাধারণ।
প্রশ্ন:– রনজি ট্রফি ফাইনাল ইডেনে। কতটা ভালো লাগছে?
সৌরাশিষ:- সেই ১৯৮৯-৯০ সালের পর,৩২ বছর পর রনজি জেতার সুযোগ। তোমাদের যা ভালোবাসা এবং ভগবানের আশীর্বাদ আশা রাখি আমরা খালি হাতে ফিরবো না।
প্রশ্ন:- আম্পায়ারিং নিয়ে কী বলবে? সিদ্ধান্ত বাংলার বিপক্ষে যাচ্ছে
সৌরাশিষ:- দেখো এটা মানুষের ভুল। হয়তো ডিসিশন বিপক্ষে গেলে খারাপ লাগে আবার পক্ষে এলে ভালোও লাগে। যা হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে ভেবে কোনো লাভ নেই। আমার মতে সামনে তাকানোই ভালো।