“দলের জন্য কিছু করতে পারায় খুব ভালো লাগছে।”- প্রীতম চক্রবর্তী


৮ই জানুয়ারী ২০১৫ এর পরে ১৩ই ডিসেম্বর ২০২২। মাঝখানে কেটেছে প্রায় আটটি বছর। এর মাঝখানে তিনি খেলেছেন অনুর্ধ-২৩ বাংলা দলে, খেলেছেন মোহনবাগান দল, কালীঘাট দলে। কিন্তু কোনোভাবেই যেন খুলছিল না বাংলা সিনিয়র দলের দরজা।
চলতি সিএবি সুপার লিগে কালীঘাটের হয়ে ভালো পারফরমেন্স করে গত সপ্তাহে বাংলার সিনিয়র দলে ডাক পান তিনি। সোমবার তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় উনিশতম সদস্য হিসেবে। এবং তারপরেই তিনি নথিভুক্ত করেন নিজের সেরা ফার্স্ট ক্লাস বোলিং ফিগার এবং ব্যাটিং স্কোর। দুই ইনিংসে ভয়ঙ্কর রিঙ্কু সিংয়ের উইকেট তুলে বাংলাকে অনেকটাই সাহায্য করেন তিনি।
বাংলার জয়ের অন্যতম নায়ক প্রীতম চক্রবর্তীর সঙ্গে সরাসরি ইন্টারভিউ পাওয়া গেল ক্লাবহাউজে।
প্রশ্ন:- সাত বছর পর ফিরে এসে প্রথম ওভারেই উইকেট। কতটা স্পেশাল ছিল?


প্রীতম:- অনেকটা স্পেশাল ছিল কারণ এতদিন পর ফিরছি, এবং ফার্স্ট ওভারে উইকেট পাওয়া অনেকটা আত্মবিশ্বাস দেয়। সারা ম্যাচে সুবিধা হয়েছে ওই উইকেটটা পাওয়ায়।
প্রশ্ন:- তৈরী ছিলে মানসিকভাবে আগেরদিন রাত পর্যন্ত?
প্রীতম:- প্র্যাক্টিসে আগেরদিন পর্যন্ত আমি জানতাম না। রাতে বলেছিল তৈরী থাকতে এবং তাই ছিলাম।
প্রশ্ন:- কামব্যাকে সরাসরি জয়, তোমার ভালো পারফরমেন্স। দুদিনে অনেক কিছুই হয়ে গেল। কি অনুভূতি।
প্রীতম:- খুবই ভালো অনুভূতি। কারণ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এতদিন পর ফেরা এবং টিমকে সাহায্য করতে পারায় সবচেয়ে বেশী আনন্দ হয়েছে।
প্রশ্ন:- লক্ষীরতন শুক্লা কি বললেন?
প্রীতম:- যা করছি তাই করে যেতে বলেছে।
প্রশ্ন:- ৩৫ মিনিট বাকি থাকতে প্রথমদিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামানো হলো তোমাকে। কি ভাবে কাটালে চ্যালেঞ্জটা?
প্রীতম:- আমাকে বলা হয়েছিল উইকেট পড়লে নামতে হবে তাই প্যাডআপ করেই ছিলাম। ব্যাটিংটা এমন নয় যে করতে পারিনা। নিজেকে রেডি করেছিলাম যে দলের জন্য কান্ট্রিবিউট করবো আর তাই পেরেছি।
প্রশ্ন:- দুটো ইনিংসে সেট রিঙ্কু সিংয়ের উইকেট পেলে। কি প্ল্যানিং ছিল?
প্রীতম:- রিঙ্কুর জন্য ক্যাপ্টেন আর কোচ বলে দিয়েছিল যে অফস্ট্যাম্পের বাইরে ওর দুর্বল জায়গায় বল করতে। ওই জায়গায় ও হয়তো রান করেছে কিন্তু ওই জায়গায় ও আউট হয়। সেটাই করেছি আর সফল হয়েছি।