“বাংলার হয়ে ম্যাচ জেতাতে পারলে বাড়তি ভালো লাগা আসে। “- কৌশিক ঘোষ


প্রথম ইনিংসে শিবম মাভির বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে হারিয়ে বসেছিলেন নিজের অফস্ট্যাম্প। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে দুরন্তভাবে এবং অবশ্যই সতর্কভাবে ইনিংস শুরু করে পূর্ণ করেছিলেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি।
গতকাল কৌশিক ঘোষের ইনিংসে ছিল স্থিতধী বল ছাড়া এবং সেই সঙ্গে লুজ বলে গ্যাপ দিয়ে বার করা বেশ কিছু বাউন্ডারি। এর আগে কৌশিক ঘোষকে যে শট মারতে দেখা যেত না বা মারতেন খুবই অল্প সেই পুল শটে কৌশিক করেছেন ইনিংসে মোট ১০টি রান, রয়েছে একটি বাউন্ডারিও।


সব কিছু নিয়ে আজ সরাসরি ইন্টারভিউতে বাংলার অ্যাডামস।
প্রশ্ন:- কাল ব্যাট করার সময়ে একটা সেটব্যাক ছিল যে আগের ইনিংসে আউট হয়ে গিয়েছিলে। কি ভেবেছিলে তারপরে?
কৌশিক:- ওরকম কিছু ভাবিনি, টার্গেট ছিল ম্যাচ জেতার। ড্রেসিংরুমে এই আলোচনা হয়। এর আগে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৩২০ তাড়া করায় আমার অবদান ছিল কিছুটা। ক্রিকেটে আজ রান হবে, কাল হবেনা। কিন্তু ম্যাচ জেতাই আসল।
প্রশ্ন:- একটা জিনিস যে ইডেনে দিনের শেষ সেশন আর মর্নিং সেশন খুব কঠিন হয় ব্যাটারদের জন্য। কতটা কঠিন ছিল ওই সময়টা তোমার জন্য?
কৌশিক:- চেজ সবসময় টপ অর্ডার ব্যাটারের ওপর নির্ভর করে। দুটো উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে আমি আর রুকুদা(অনুষ্ঠুপ মজুমদার) পার্টনারশীপ ভালো করেছি। একটা ব্যাপার ছিল যে রান যতটা ছোট করা যায়। ওই কাজে সফল হয়েছি।
প্রশ্ন:- এতদিন বাদে কামব্যাক করলে আর সেই সঙ্গে নিজের ব্যাটে রান। কতটা ভালো লাগছে?
কৌশিক:- ভালো তো লাগছেই কারণ বাংলার জন্য কিছু করতে পেরেছি। আমরা রনজিতে রানার্স আপ হয়েছি এবং এবার ইচ্ছে আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।
প্রশ্ন:- সেঞ্চুরির দিকে যেতে যেতে ৬৯ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যবশত বোল্ড আউট হলে। কতটা খারাপ লাগছে?
কৌশিক:- দেখো বাংলার হয়ে একশো করে ম্যাচ জেতালে একটা মজা থাকে। আজ আউট হওয়াটা হয়তো ভাগ্যে ছিল কিন্তু ভবিষ্যতে সুযোগ এলে এটাকে বড়ো করবো।