“এতদিন খেলার পরে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে একটা দায়িত্ব থেকেই যায়”- অনুষ্টুপ মজুমদার


গ্যালারিতে বসে আছেন বাবা প্রবীর মজুমদার এবং ছেলে পোপ। প্রথমবারের মতো বাবার খেলা দেখতে এসেছে আট বছরের ছেলে এবং উল্লেখ্য বাংলার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অনুষ্টুপ মজুমদারের বাবাও ছেলের খেলা এতো বছরে দেখেছেন মাত্র হাতে গোনা কয়েকবার।
চতুর্থ দিন খেলার শুরুতে বাকি ছিল মাত্র আটটি রান এবং হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার সাথেই যখন ব্যক্তিগত ৫২ রানে পৌঁছলেন বাংলার রুকু, তখনই ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে নিজের ৪০০০ রান করে ফেললেন তিনি। এরপর তিনি এই ম্যাচে করেছেন আরো ৩১টি রান। শেষ পর্যন্ত যখন ১৭০ বলে ১০টি চার দিয়ে সাজানো তার ৮৩ রানের ইনিংসটির পতন ঘটলো রিঙ্কু সিংয়ের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে তখন ক্লাবহাউজের দর্শক, বি ব্লকের দর্শক থেকে শুরু করে সতীর্থরা- সবাই অভিবাদনে ভরিয়ে দিচ্ছেন অনুষ্টুপকে।
বাংলাকে জেতানোর পর সেই রুকুকেই পাওয়া গেল ইডেনে।
প্রশ্ন:- ৪০০০ রান ফার্স্ট ক্লাসে। কতটা স্পেশাল অনুভূতি?
অনুষ্টুপ:- ৪০০০ রানের জন্য স্পেশাল কিছু না। দল জিতেছে এবং এই জয়ে আমার অবদান আছে তাই খুব ভালো লাগছে।


প্রশ্ন:- প্রথম ইনিংসে আউট হওয়ার পরে কতটা সেটব্যাক ছিল তোমার কাছে?
অনুষ্টুপ:- সেটব্যাক নয়। একটা দায়িত্ব ছিল যে পুরোনো ম্যাচ আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং ওই জায়গায় আমি আর কৌশিক(ঘোষ) যদি একটা পার্টনারশীপ করি, তবে আমরা ভালো জায়গায় থাকতাম। আর আজকে সকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং ওখানে আমি আর মনোজ(তিওয়ারি) ভালো খেলেছি এবং তাই আমরা জিতেছি।
প্রশ্ন:- পুরোনো মনোজ আর অনুষ্টুপের পার্টনারশীপে বাংলা জিতল। লিড দেওয়ার পরেও বাংলা জিতল। কেমন লাগছে?
অনুষ্টুপ:- শুধু জুটি নয়, এতদিন খেলছি তাই আমাদের একটা আলাদা দায়িত্ব আছে দলের প্রতি। মনোজ খুব ভালো লিড করেছে এবং পরের ম্যাচেও অধিনায়কত্ব করবে। এই ম্যাচটা হয়ে গিয়েছে এবং এই পার্টনারশীপটা একটা স্পেশাল অনুভূতি। আমরা সামনের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রশ্ন:- তোমার বাবা-ছেলে মাঠে ছিল। এটা কতটা স্পেশাল?
অনুষ্টুপ:- বাবা আগেও ছিল তবে খুব কম ম্যাচ দেখেছে। ছেলে আমার প্রথম ম্যাচ দেখলো। সত্যি ভালো লাগে এবং যদি পারফর্ম করি আরো ভালো লাগে। ছেলের স্কুল ছিলনা বলেই এসেছে আজ।