জাকিরের সেঞ্চুরির ম্যাচেও পরাজয়ের চোখ রাঙানি

আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মহম্মদ আশরাফুল ও আবুল হাসানের পর টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হলেন জাকির হাসান। তবে অভিষেক ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি তিনি।

ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করেছেন তরুণ ওপেনার জাকির হাসান। ২২৪ বলে ১৩টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করে ফেরেন এ ওপেনার।

জাকির হাসানের সেঞ্চুরির দিনে অর্ধশতক পূর্ণ করে ফেরেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ১৫৬ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৭ রান করে ফেরেন। এই দুই ওপেনার উদ্বোধনী জুটিতে গড়েন ১২৪ রানের জুটি।

দ্বিতীয় ইনিংসে এমন দারুণ শুরুর পরও তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ইয়াসির আলী। তিনি ফেরেন ১২ বলে ৫ রান করে। এর আগে প্রথম ইনিংসে ফেরেন ১৭ বলে ৪ রানে।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৯ বলে মাত্র ১৯ রানে ফেরেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে তিনি ওয়ানডের স্টাইলে ব্যাটিং করে ৩০ বলে ২৪ রানে ফেরেন।

আকসার প্যাটেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫০ বলে ২৩ রান করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসে তিনি ফেরেন ৫৮ বলে ২৮ রানে।

আকসারের তৃতীয় শিকার হন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। তিনি ফেরেন ৩ বলে ৩ রান করে। প্রথম ইনিংসে করেন ২২ বলে ১৬ রান।

চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭২ রান। হার এড়াতে হলে রোববার শেষ দিনে পুরো তিন সেশন দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেনদের।

শেষ দিনে সাকিব-মিরাজরা যদি ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা দেখাতে পারেন তাহলে পরাজয়ের দুশ্চিন্তা কাটিয়ে ২৪১ রান তুলে জয়ও পেতে পারে বাংলাদেশ।

তবে সবকিছু নির্ভর করছে সাকিব-মিরাজের ওপর। তারা যদি শেষ দিনে নিজেদের পাটর্নারশিপটা দীর্ঘ করতে পারেন তাহলে পরাজয় এড়ানো সম্ভব।

চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ৬৯ বলে ৪০ আর ৪০ বলে মাত্র ৮ রানে অপরাজিত সাকিব-মিরাজ।