অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার সিরিজ শুরুর আগে থেকেই আবহ ছিল, লড়াইটা হবে দুই দলের পেস আক্রমণের। প্রথম দিনেই তা দৃশ্যমান সহায়ক উইকেটে। ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গেল ১৫২ রানে। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াও দিন শেষে ১৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে।
এক কথায় অজি তিন পেসার মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও স্কট বোল্যান্ড মিলে গুঁড়িয়ে দেন প্রোটিয়াদের টপ ও মিডল অর্ডার। তিন উইকেট নিয়ে স্টার্কের টেস্ট শিকার সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯৯। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন ন্যাথান লায়নও। অভিজ্ঞ অফ স্পিনার এই উইকেটেও ঠিকই আদায় করে নেন তিন উইকেট। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ স্কোরার কাইল ভেরেইনার (৬৪) উইকেটও।
পরে প্রোটিয়া পেসাররাও পরীক্ষা নেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিংয়ের। কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হেড আরেকবার চিনিয়ে দন নিজের জাত। দুর্দান্ত প্রতিআক্রমণে তার ১৩ চার ও ১ ছক্কার ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে যায় লিডের কাছে।
গ্যাবায় শনিবার টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। সাফল্যও ধরা দেয় দ্রুত। স্টার্কের লেগ স্টাম্পের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন প্রোটিয়া দলপতি ডিন এলগার (৩)। তিনে নামা রাসি ফন ডার ডাসেনকে ৫ রানে বিদায় করেন কামিন্স।
আরেক ওপেসার সরল এরভিয়া শুরু থেকেই ছিলেন নড়বড়ে। ১৯ বলে প্রথম রান করার পর শেষ পর্যন্ত তিনি স্কট বোল্যান্ডের শিকার হন ১০ রানে। গালিতে নিচু হয়ে দারুণ ক্যাচ নেন ক্যামেরন গ্রিন। এক বল পরই বোল্যান্ড শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন খায়া জন্ডোকে। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনা মিলে সেখান থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করে দলকে। বাভুমা উইকেট আঁকড়ে রাখেন, ভেরেইনা খেলতে থাকেন শট। লাঞ্চের আগে আর কোনো উইকেট হারায়নি তারা।
লাঞ্চের পরও কিছু দূর এগিয়ে যান দুজন। বাভুমা (৭০ বলে ৩৮)। ৯৮ রানের এই জুটি ভাঙার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। পরের দিকের আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি। ৬৪ রান করা ভেরেইনাকে দারুণ এক স্লাইডারে থামান লায়ন। মার্নাস লাবুশেন এবার ফেরেন ১১ রানে। নবম ওভারে বল হাতে নিয়েই তাকে ফেরান বাঁহাতি পেসার মার্কো ইয়ানসেন। ১১ রানেই বিদায় নেন ওপেনা উসমান খাওয়াজা। এরপর অস্ট্রেলিয়া ২৭ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলা দলকে এগিয়ে নেন স্টিভেন স্মিথ ও হেড।
দুজনের শুরুটা ছিল সাবধানী। পরে হেড শুরু করেন শট খেলা, স্মিথ রয়ে যান আরেক প্রান্ত আগলে। শুরুতে ১৬ বলে হেডের রান ছিল ২। সেখান থেকে ফিফটি করে ফেলেন ৪৮ বলেই। পরের ওভারে নাইটওয়াচম্যাচ বোল্যান্ডকে বিদায় করে দেন রাবাদা। লড়িয়ে ক্রিকেটের একটি দিনের খেলার সমাপ্তি সেখানেই।