৮ই মে, সকাল ৮টা ৪০ মিনিট। কালীঘাট মাঠে পৌঁছে অভিষেক পোড়েলকে ফোন করতেই ওপার থেকে উত্তর এলো “একটু দাঁড়াও। আমি আখের রস খেতে এসেছি।” এর ঠিক দশ মিনিট পরেই অঙ্কিত মিশ্র, কাজী জুনাইদ সাইফির সঙ্গে হেঁটে হেঁটে এলেন অভিষেক। বড়িষা ক্লাবের জার্সি এবং ভারতীয় দলের শর্টস পরে এলেন। এবং দেখা হওয়ার পর জিজ্ঞেস করলেন সব ভালো কিনা। ইন্টারভিউ পূর্ববর্তী সময়ে নানা কথাবার্তা চললো তাঁর ড্রাইভিং শেখা, টালিগঞ্জ অ্যাকাডেমিতে প্র্যাক্টিস এবং চন্দননগর থেকে রোজকার আসা-যাওয়া নিয়ে। এরপরে একটি গাছের তলায় দাঁড়িয়ে হলো তিন মিনিট ব্যাপী ইন্টারভিউ যাতে অনুর্ধ-১৯ বাংলা দল, রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ-স্তর সব নিয়েই হলো আলোচনা।
প্রশ্ন:- কোচবিহার ট্রফির নকআউট স্তরে বাংলা দল হঠাৎ হেরে ছিটকে যায়। কি কারণ মনে হয়?
অভিষেক:- বলতে গেলে বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো এবং ওখানে আমরা হতাশ করেছি। আমাদের পেস বোলিং এবং স্পিন বোলিং খুব একটা ভালো হয়নি। এছাড়া ফিল্ডিংয়ে হাফ-চান্স মিস হয়েছে এবং এরপরে ব্যাটিং ভেঙ্গে পড়েছে। কোনো দিকটাই খুব ভালো হয়নি বলতে গেলে। ঐজন্য কোথাও পিছিয়ে ছিলাম। এছাড়া হরিয়ানা দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিলো বেশী, সেই জন্য ওরা বেরিয়ে গেছে ম্যাচ নিয়ে। এই সমস্যা গ্রুপ-স্তরে হয়নি, দুটো দল সমান ছিলো আর আমরা ভালো খেলে ম্যাচ জিতে নিয়েছিলাম।
প্রশ্ন:- তুমি অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপে মাঝখানে হঠাৎ নির্বাচিত হও। কেমন অনুভূতি ছিলো?
অভিষেক:- অনুভূতি খুবই ভালো ছিলো। আনেক্সপেক্টেড ছিলো সবটাই। ওখানে অনেকদিন থেকে শিখেছি অনেক কিছু। খুব ভালো লেগেছে এবং বিশ্বকাপ জয় ভালো লাগার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয় বটেই।
প্রশ্ন:- তোমার কেরিয়ারে বিভাস স্যারের অবদান আমরা জানি কিন্তু তোমার বাবা-মার কতটা অবদান সেটা অজানা। কি মনে হয়?
অভিষেক:- অনেকটাই অবদান আছে। বাবা-মা-স্যার তিনজনই ছোট থেকে সব সাপোর্ট করতো আর এখনও করে। খেলার দিকে কোনো কমতি রাখেনি। বাকি আর যারা ছিলো মানে অনুপদা, দাদা এবং বন্ধুরা সবার সাপোর্ট আমাকে সাহায্য করেছে।
প্রশ্ন:- তোমার রঞ্জি ট্রফি অভিষেকে বাংলা ৮৮ রানে অলআউট হয়। ড্রেসিংরুমে কি অবস্থা হয়েছিলো?
অভিষেক:- না ড্রেসিংরুমে কোনো কিছু বোঝা যায়নি। সবাই জানতো এটা হতেই পারে এবং বিশ্বাস ছিলো আমরা কামব্যাক করবো।
প্রশ্ন:- তুমি সেইদিন লুকমান মেরিওয়ালা, অতীত শেঠ এইরকম বোলারকে অ্যাটাক করবে ভেবেই এগোচ্ছিলে?
অভিষেক:- এরকম কিছু না। আমার যেটা খেলা ছিলো সেটাই খেলেছি। আমি নাম বা বোলার দেখে খেলিনি, জানতাম বল দেখবো আর সেই মতন খেলবো।
প্রশ্ন:- রঞ্জি ট্রফির নক-আউট স্তরের জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছ?
অভিষেক:- কিছু রেকটিফিকেশন করছি। সিনিয়র প্র্যাক্টিস, জিম এসবও চলছে আর এইভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।