ব্যাটিং–বোলিংয়ে শীর্ষে কেউ নেই, তবুও এশিয়া চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা!

এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ১৭০ রান তাড়া করতে রিজওয়ান যখন ওপেনিংয়ে নামলেন, তখন কোহলির চেয়ে ৫০ রানে পিছিয়ে। কোহলি তখন পর্যন্তও এবারের এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (২৭৬)। রিজওয়ান ২২৬ রান নিয়ে দুইয়ে।
পরে করুনারত্নেকে ছক্কা মেরে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হয়ে যান রিজওয়ান। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাকিস্তান ফাইনালে জিততে পারল না।

৬ ম্যাচে ৬ ইনিংসে ৫৬.২০ গড়ে ২৮১ রান নিয়ে শীর্ষে রিজওয়ান। এরপর রয়েছেন কোহলি ৫ ম্যাচে ৫ ইনিংসে ৯২ গড়ে ২৭৬ রান করেছেন। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে স্ট্রাইকরেটে ভানুকা রাজাপক্ষের (১৪৯.২১) পরই কোহলি (১৪৭.৫৯)।

এবারের টুর্নামেন্টে একমাত্র সেঞ্চুরিটি কোহলি পেলেও ধারাবাহিকতায় রিজওয়ান এগিয়ে (৪৩, ৭৮, ৭১, ২০, ১৪ ও ৫৫)। তবে কোহলিও পিছিয়ে নেই, তাঁর ইনিংসগুলো দেখুন—৩৫, ৫৯, ৬০, ০ ও ১২২*।

৫ ম্যাচে ৫ ইনিংসে ১৯৬ রান নিয়ে তিনে আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে জাদরানের স্ট্রাইকরেটই (১০৪.২৫) সবচেয়ে কম। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে সবচেয়ে কম বল খেলেছেন রাজাপক্ষে (১২৮) রান করেছেন ১৯১। সর্বোচ্চ ২৩৯ বল খেলেছেন রিজওয়ান। মজার ব্যাপার, গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ৬ ম্যাচে ৬ ইনিংসে রিজওয়ান ২৮১ রান করেছিলেন। এবারের এশিয়া কাপের মতো গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তুলে নেন তিনটি অর্ধশতক।

বোলিংয়ে শীর্ষ পাঁচে তিন পাকিস্তানি ও একজন করে শ্রীলঙ্কান ও ভারতীয়। তবে উইকেট নেওয়ায় শীর্ষে ফাইনালে উঠতে না পারা ভারতের এক পেসার—ভুবনেশ্বর কুমার। ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট তাঁর।

ফাইনালে ৩ উইকেট নেওয়া লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে দুইয়ে। এরপর সমান ৮টি করে উইকেট পাকিস্তানের তিন বোলার—মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান ও হারিস রউফের।

শীর্ষ পাঁচ বোলারের মধ্যে ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন শুধু ভুবনেশ্বর কুমার। সেটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও ৪ উইকেট আছে তাঁর। ভুবনেশ্বর ছাড়া ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পেরেছেন শুধু শাদাব খান। ইকোনমি রেটে শীর্ষ পাঁচ বোলারের মধ্যে এগিয়ে পাকিস্তানি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ (৫.৮৯)। বোলিং গড়ে অবশ্য ভুবনেশ্বরের (১০.৪৫) ধারেকাছে কেউ নেই। স্ট্রাইকরেটেও (১০.১৩) তাই।