দেশপ্রেমের অন্য নাম কি দ্বিচারিতা?

রাত পোহালেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তার আগে একটা প্রেস কনফারেন্সের মধ্যে তিরিশ সেকেন্ডের খুব ছোট একটা অংশ। আর তাতেই মন জয় করে নিলেন কেএল রাহুল। কী বললেন রাহুল, সেটা প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ‘আমরা প্রত্যেকে খুব উত্তেজিত। খেলোয়াড় হিসেবে, ভারতীয় দলের অংশ হিসেবে আমরা সকলেই সবসময় মুখিয়ে থাকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ খেলার জন্য, যেকোন জায়গায়। কিন্তু এইরকম মঞ্চে খেলার বিষয়টাই আলাদা যেহেতু আমরা অন্য জায়গায় একে অপরের বিরুদ্ধে বড় মঞ্চ ছাড়া খেলি না। পাকিস্তানের মতো বড় টিমের সঙ্গে খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং, আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটা ইতিহাস আছে। তাই খেলোয়াড় হিসেবে সবসময়ই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ খেলাটা উপভোগ করি।’

খুব সুস্পষ্ট এবং বুদ্ধিদীপ্ত বক্তব্য। খুব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কিন্তু তাৎপর্য অনেক বড়। যে দুই দেশের ক্রিকেট ইতিহাস এত সমৃদ্ধ তাদের ভেতর আরও বেশী ক্রিকেট হওয়া উচিত। রবিবারের ম্যাচের টিকিট মাত্র আড়াই ঘন্টায় শেষ হয়েছে। অর্থাৎ শুধু ক্রিকেটাররা নন, দুই দেশের সাধারণ সমর্থকরাও চান এই ম্যাচ দেখতে, অপেক্ষায় থাকেন একটি ভারত পাকিস্তান ম্যাচের জন্য।

তাই সবসময় একটাই জিনিস মনে হয়, এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির প্রভাব কোনভাবেই খেলার মাঠে পড়া উচিৎ নয়। আর যদি সত্যি প্রভাব পড়ে, তবে সেটা দ্বিচারিতার চাদর সরিয়ে পড়ুক। অলিম্পিক, কমনওয়েলথ বা এশিয়াডে অন্য খেলায় এক অপরের বিরুদ্ধে অংশ নিতে অসুবিধে নেই, ক্রিকেটে আইসিসি আয়োজিত কোন প্রতিযোগিতায় খেলতে অসুবিধে নেই, কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সিরিজেই যত অসুবিধে! বন্ধ হলে সর্বস্তরে সমস্ত খেলায় অংশগ্রহণ বন্ধ হোক, না হলে সমস্ত খেলা হোক। হয় অলিম্পিক বা বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত পাকিস্তানের মুখোমুখি হলে ওয়াকভার দিক, না হলে সর্বস্তরে সব খেলা খেলুক।

 সত্যিই দেশপ্রেমের প্রতিশব্দ কি দ্বিচারিতা?