লিটন ঝড়ের পর বৃষ্টি, বৃষ্টির পর হার


ঝড়ের পর বৃষ্টি আসে। লিটন ঝড়ের পরও সেটাই এলো অ্যাডিলেড ওভালে। আর সেই বৃষ্টিতেই যেন খেই হারাল বাংলাদেশ। প্রায় ৫২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর যখন আবার তা শুরু হলো, নাজমুলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে দ্বিতীয় বলেই রান আউট লিটন। সেখান থেকে বাংলাদেশ শুধু হারের দিকেই এগুলো। শেষ দিকে কিছুটা রোমাঞ্চ ছড়িয়ে হারটা শেষ পর্যন্ত ৫ রানের।

ভারতের বিপক্ষে আমরা সব সময়ই আশা জাগাই কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারি না, সাকিবের সরল উক্তিতে মিশে থাকল অনেক কিছু। হতাশা, অতৃপ্তির সঙ্গে উঠে এলো বাস্তবতাও। আরও একবার প্রতিবেশী দেশটিকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল।

ব্যবধান স্রেফ ৫ রান। ব্যাটিংয়ে আরেকটু মাথা খাটাতে পারলে, ব্যাটসম্যানরা উইকেট ছুড়ে আসার প্রতিযোগিতায় না নামলে
ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেই পারত।

ভারতীয় বোলিং গুঁড়িয়ে ২৭ বলে ৬০। তিন ছক্কার সঙ্গে সাত চার। কোন বোলার একটুও ভাবাতে পারেননি তাকে। বরাবরের মতোই অনিন্দ্য সুন্দর ব্যাটিং। স্টাইলিশ ব্যাটিংয়ে কেড়ে নিলেন মন। গড়ে দিলেন ভিত।
এরপরও জিততে পারল না বাংলাদেশ। হারাল ভারতকে হারানোর অনেক বড় সুযোগ। ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৯ ওভারে ৮৫ রান খুব কঠিন কোন সমীকরণ নয়। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৫ ওভারে ৫২ রানও করতে না পারার কোনো কারণ নেই। তবুও হারের পথ বের করে ফেললেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এত রান তাড়া করে আর কোনও দলই জেতেনি। বাংলাদেশ কি পারবে অসাধ্য সাধন করতে? প্রায় ৩০ হাজার দর্শকের বেশিরভাগই এই প্রশ্নে ‘না’ ভোটই দিয়ে থাকবেন। বেশিরভাগ দর্শক যে ছিল ভারতীয়ই! বাংলাদেশের দর্শকও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের আর উৎসব করে ঘরে ফেরা হয়নি। ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের বিশ্বকাপটাই যে প্রায় দিগন্ত দেখে ফেলেছে!

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে শীর্ষে উঠে গেল ভারত। ৪ ম্যাচে রোহিত শর্মাদের পয়েন্ট ৬। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে
বাংলাদেশ। পরের তিনটি স্থানে আছে যথাক্রমে জিম্বাবোয়ে, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস।