শুভমন গিলের নাম প্রথম একাদশে দেখতে না পাওয়াটা যতটা বিস্ময়কর, নাগপুরের বাইশগজের আচরন বোধহয় ততখানি অত্যাশ্চর্য ঘটনা নয়। যদিও বিস্ময় ছিল না সূর্য কুমার যাদব এবং শ্রীকর ভারতের অভিষেক নিয়ে।
অসমান বাউন্স এবং মাঝেমধ্যেই লাট্টুকে লজ্জায় ফেলে দেওয়ার মত বলের ঘূর্ণন গতি -উপমহাদেশের উইকেটের প্রচলিত চরিত্র অনুযায়ী অতিথি সৎকারের পরিপাটি বন্দোবস্ত।এমন পিচে কে ভেবেছিল দুই মিডিয়াম পেসার শুরুতেই চমক দেখাবেন?দুই ওপেনার যে এত দ্রুত প্যাভেলিয়নে ফেরত যাবেন সেটা বোধহয় রোহিত নিজেও কল্পনা করতে পারেননি।এখন স্মিথ লাবুশানে জুটির স্থায়ীত্বের ওপর অসিদের প্রথম ইনিংসের পাকাপোক্ত কাঠামো নির্মাণ নির্ভর করছে। এখনও পর্যন্ত দুজনেই ত্রিমুখী স্পিন আক্রমণের মোকাবিলায় যথেষ্ট সাবলীল।স্মিথকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও শট খেলতে দেখা যাচ্ছে।২০০৪ এ মাইকেল ক্লার্ককে যে রণকৌশল সফলভাবে প্রয়োগ করতে দেখা গিয়েছিল। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত এই জুটি অবিচ্ছিন্ন থাকলে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে আপাত স্থিতিশীলতার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা সফরকারীদের প্রথম ইনিংসে।নচেৎ বহুল চর্চিত চিত্রনাট্যেরই পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা।