বড় রানের ভিত গড়ে দিলেন খোয়াজা

দ্বিতীয় সেশনে উইকেটহীন থাকার যন্ত্রণা ভুলে চা বিরতির পর প্রথমে স্মিথ ও পরে হ্যান্ডসকম এই দুই জোড়া ধাক্কায় অসিদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার স্বপ্ন যে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হল না তার নেপথ্যে এক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বাঁ হাতি ওপেনার।

উসমান খোয়াজার চোদ্দতম টেস্ট সেঞ্চুরির দৌলতে আমেদাবাদ টেস্ট এর প্রথম দিনের শেষে অষ্ট্রেলিয়া সুবিধাজনক অবস্থায় বললে অতিশয়োক্তি হবে না। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮৫ রান ইতিমধ্যেই চলে এসেছে।৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৫ স্কোরকে টেস্ট ক্রিকেটের আধুনিকতম বিবর্তনের মাপকাঠিতে খুব স্বাস্থ্যকর মনে না হলেও কাল প্রথম ঘন্টার মধ্যে এই জুড়িকে বিচ্ছিন্ন না করতে পারলে অন্ততপক্ষে চারশো প্লাস এর সম্ভাবনাকে যুক্তিপূর্ণভাবে খারিজ করা যাবে না। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের বাইশ গজ তর্কাতীতভাবে সিরিজের সেরা এবং এমন ব্যাটসম্যান সহায়ক উইকেটে টস হারার মূল্য কিভাবে চোকাতে হতে পারে সেটা অবশ্যই ভারতীয় শিবিরের পক্ষে মাথাব্যথার কারণ। আপাতত ম্যাচের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী বিগত তিন টেস্টের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে হচ্ছে। অর্থাৎ ম্যাচ পাঁচদিন গড়াবার সমূহ সম্ভাবনা এবং শেষ দুদিন বল ঘুরবে না এমন নিশ্চয়তা দেওয়ার সময় এখনও আসেনি। অষ্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস সাড়ে চারশো পাঁচশো ছাড়ালে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার চাপ রোহিতরা নিতে পারবেন কিনা সেই চর্চা যথেষ্ট কৌতুহলোদ্দীপক হতে বাধ্য। ভারতের ম্যাচে ফিরে আসার জন্য প্রাথমিকভাবে যেটা অবশ্যকর্তব্য সেটা হল কাল প্রথম সেশনে অশ্বিন জাদেজাদের ভেলকি।যদিও এখনও পর্যন্ত মহম্মদ শামি কে সবচেয়ে বেশী ক্ষুরধার দেখিয়েছে,অবোধ শিশুও বলবে দেশের মাটিতে বিপক্ষের কুড়ি উইকেট তোলার ট্র্যাম্প কার্ড অবশ্য‌ই স্পিন বোলিং বিভাগ।এই উইকেট এখনও পর্যন্ত স্পিনারদের জন্য আকাঙ্ক্ষিত রসদ সরবরাহ করেনি সত্যি এবং তাই কাল অশ্বিনদের সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করার অগ্নিপরীক্ষাও বটে।তাদের ক্রিকেটীয় দক্ষতায় এখনও যে মরচে পড়েনি,পিচের আনুকূল্য বর্জিত পরিবেশেও যে তারা কুড়ি উইকেট তোলার ব্যাপারে যথেষ্ট পারদর্শী এই মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে জুনের ওভাল যাত্রার রাস্তা কিঞ্চিৎ কন্টকাকীর্ণ দেখাতে বাধ্য।