শুরুতে মহম্মদ শামি যেভাবে শর্ট পিচ বৃষ্টি করছিলেন খেলাটা দিল্লিতে না পার্থে হচ্ছে বোঝা যাচ্ছিল না। উপমহাদেশের স্লো টার্নারে এই কৌশলের কার্যকারিতার খুব সহজবোধ্য ব্যাখ্যা কি হতে পারে? জানি না তবে ওয়ার্নার যখন মনে হচ্ছিল ফাঁড়াটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন ঠিক তখনই সেই শামিই ওকে ফেরালেন এবং অবশ্যম্ভাবীভাবে অষ্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ভাঙনের সুত্রপাত।
ম্যাচের প্রথম সেশনেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন তার সুবিদিত দক্ষতার প্রতি সুবিচারের প্রমাণ রেখে যেভাবে বল ঘোরালেন সেটা নিঃসন্দেহে চমৎকৃত করে দেওয়ার মত।স্টিভ এর মত স্পিন খেলায় সর্বজনবিদিত দক্ষ ব্যাটসম্যানও তাতে কুপোকাত।গত সিরিজে নিজেদের দেশেই স্টিভ অশ্বিনকে খেলতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছিলেন। ভারতীয় উইকেটে যে তার বিড়ম্বনার মাত্রা আরও বাড়বে সেটা বিস্ময়কর নয়।তবে এবারে যেহেতু বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে এসেছিলেন,অশ্বিন স্টিভ ডুয়েলে তুল্যমূল্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝলক দেখার আশা ছিল। এখনও পর্যন্ত তা সফল হওয়ার ইঙ্গিত নেই।
এবং স্মিথ লাবুশানে দুজনেই চলে যাওয়া মানে অষ্ট্রেলিয় ব্যাটিং এর হৃদপিন্ড আর ফুসফুস বাদ যাওয়া।খোয়াজা একদিক ধরে রেখেছেন কিন্তু বাকিদের যোগ্য সঙ্গত না থাকলে তার প্রতিরোধ কতদূর পর্যন্ত স্থায়ী হবে?