দীর্ঘক্ষণ আকাশদীপ-মুকেশ কুমারকে বল করিয়ে সবেমাত্র ঈশানের হাতে লাল বলের দায়িত্ব দিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। ক্রিজে তখন বেশ সেট হ্যার্ভিক দেশাই এবং নৈশপ্রহরী চেতন সাকারিয়া।
বল করতে এসেছে হ্যার্ভিককে পেলেন না তিনি, তবে তার পরিবর্তে আসা শেল্ডন জ্যাকসন বেশ ব্যাস্ত থাকলেন ঈশানের বলে। সকাল থেকে প্রায় একটা ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়ার পর রাউন্ড দ্য উইকেট আসা ঈশানের একটি ইন্সউইং বল সরাসরি ঢুকে এলো স্ট্যাম্পে এবং ব্যক্তিগত ৮রানে হলো চেতনের পতন।
এরপরেই দেখা গেল ঈশানের সেই সেলেব্রেশন। উচ্ছাসে ফেটে পড়ে বেশ কিছুটা দৌড়ে এসে মুখে আঙ্গুল দিয়ে একটা সেলেব্রেশন করলেন ঈশান এবং তা রীতিমতো মাতিয়ে দিলো ক্লাবহাউস থেকে শুরু করে অন্য গ্যালারি।
তখন সৌরাষ্ট্র ১০৯/৪। ক্রিজে কাঁপছেন শেল্ডন জ্যাকসন এবং নতুন এসেছেন ফর্মে থাকা ব্যাটার অর্পিত ভাসাভাড়া। উইকেটের জন্য তখন উৎফুল্ল ইডেন গার্ডেন। কিন্তু লাঞ্চ অবধি কাটিয়ে দিয়ে তারপর যে প্রতিআক্রমণ শুরু করলেন জ্যাকসন-ভাসাভাড়া, তাতে বাংলার ফিরে আসা ছিল খুবই চাপের। জ্যাকসন-ভাসাভাড়া স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে রানের গতি বাড়িয়ে চললেন নিরন্তর।
তৈরী ছিলেন বঙ্গ অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিও। একবার শাহবাজ আহমেদকে এনে, অন্যবার ঈশান পোড়েলকে দিয়ে ক্রমাগত শর্ট বল করিয়ে গেলেন তিনি। শেষপর্যন্ত ঈশানের একটি শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়ে স্কোয়ার লেগে প্রদীপ্ত প্রামাণিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন শেল্ডন(৫৯)।
কিন্তু সৌরাষ্ট্রর সমস্যা সম্পূর্ণ কাটিয়ে দিলেন অর্পিত ভাসাভাড়া এবং চিরাগ জানি। আপাতত চা বিরতির শেষে সৌরাষ্ট্রর লিড ৬৪। অর্পিত অপরাজিত ৫৩*, চিরাগ জানি অপরাজিত ১৭*।