জাতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধানের পদ করলেন চেতন শর্মা। এই পদত্যাগ আকস্মিক মনে হলেও খুব অপ্রত্যাশিত কি? চেতনের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম হ্যাটট্রিককারী বোলার আদতে নিজের কবর নিজেই খুঁড়েছেন যার অবশ্যম্ভাবী পরিনতি হিসেবে তার বিদায় একরকম অনিবার্য ই ছিল।বোর্ড সেই ঘাড়ধাক্কাটা দিলে সেটা যতটা অপমানজনক তথা অমর্যাদাব্যঞ্জক হত, চেতন নিজে থেকে সরে গিয়ে তুলনামূলকভাবে কিঞ্চিৎ মানরক্ষা করতে পেরেছেন বলে মনে হয়।
তবে জি নিউজের স্টিং অপারেশনে বিতর্কিত মন্তব্য করে যেভাবে ক্রিকেট প্রশাসনকে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলেছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে এহেন প্রস্থানকে ওর ভাবমূর্তির সাপেক্ষে খুব সম্মানজনক বলা চলে না। আগের মেয়াদ নিস্কলুষ ছিল এটা বললে ওর চরম শুভাকাঙ্ক্ষীও বিশ্বাস করবে না। ক্রিকেটারদের ফিটনেস সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন ছাড়াও অপরিণামদর্শী তথা বালখিল্যসুলভ দল নির্বাচনের গুরুতর অভিযোগ ওর বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক অনুমান ছিল দ্বিতীয় দফায় কপিলের প্রাক্তন বোলিং পার্টনারের ক্রিকেট প্রশাসনে এহেন কেলেঙ্কারির পর আর প্রত্যাবর্তন ঘটবে না। বোর্ড রাজনীতির জটিল অঙ্কে প্রচলিত ধারণা বদলে যাওয়ার নেপথ্য কারণ আজও অজানা।ক্রিকেট বোর্ডের চরম নির্বুদ্ধিতাসুলভ হঠকারিতা ছাড়া এর বিকল্প সহজবোধ্য ব্যাখ্যা কি হতে পারে সেটা জানা নেই।তবে দ্বিতীয় দফার মেয়াদের শুরুতেই কান্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করে চেতন যখন বুঝিয়ে দিলেন তিনি পুরোনো স্টাইলেই খেলতে চান,বোর্ডের তরফে নিজেদের কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ এসে গিয়েছিল।চেতন সেটা হতে না দিয়ে শেষ বেলায় বাজিমাত করলেন বলে মনে হচ্ছে।