টাটা আইপিএল ২০২২-এর এই দশদলীয় প্রতিযোগিতা যোগ্যতমের উদবর্তন তত্ত্বানুযায়ী কাটছাঁট হয়ে চারদলীয় হতে বাকি আর মাত্র ছয় দিন। পরিষ্কারভাবে বললে আর ছ’ম্যাচ বাদে টুর্নামেন্ট প্রবেশ করবে প্লে-অফে। সিংহভাগ ক্রীড়ামোদী বাঙালি হয়তো যারপরনাই আশাবাদী কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্লে-অফে কোয়ালিফাই করা নিয়ে। তবে গতকাল রাজস্থান লখনউ-এর বিরুদ্ধে জিতে কেকেআরের কফিনে কার্যত শেষ পেরেকটা পুঁতে দিল। এদিকে বাস্তব কী বলছে? লিগ-টেবিলে একবার চোখ বোলালেই আন্দাজ করা যায় যে কেকেআরের এবার বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে ফেলার সময় হয়ে এসেছে। কারণ, আজ পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিট্যালসের ম্যাচে যে-দলই জিতুক না কেন, চিন্তার পারদ চড়বে কলকাতা শিবিরে, যদিও অসম্ভব বলে আদতে কিছু হয় না প্রতিযোগিতামূলক খেলায়।
তাই চলুন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে দেখে নেওয়া যাক কোন সমীকরণে কেকেআর প্লে-অফের টিকিট পেতে পারে।
প্রথম কথা হলো কেকেআরকে তাদের শেষ ম্যাচটি জিততেই হবে এবং তার সাথে তাকিয়ে থাকতে হবে চার নম্বর পজিশনের লড়াইয়ে থাকা বাকি দলগুলির দিকেও।
লিগ টেবিলে দিল্লি, কেকেআর এবং পাঞ্জাব তিনজনেই ১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। নিজেদের আশার টিমটিমে বাতি জ্বালিয়ে রাখতে রান-রেটের কথা মাথায় রেখে আজকের ম্যাচে পাঞ্জাবের হয়েই গলা ফাটাবে কলকাতা। রান-রেটের বিচারে কলকাতার চেয়ে আপাতত এগিয়ে দিল্লি। তাই তারা জিতলে কেকেআরের গল্প আজই ইতি হয়ে যেতে পারে। পাঞ্জাব তাদের শেষ ম্যাচ অর্থাৎ হায়দ্রাবাদের সাথে হারলে এবং কেকেআর তাদের শেষ ম্যাচ জিতলে তবেই কিছুটা আশা বেঁচে থাকতে পারে। শর্তাবলী এখানেই শেষ নয় সেক্ষেত্রে দিল্লি ক্যাপিট্যালসের পাশাপাশি রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকেও তাদের শেষ ম্যাচ হারতে হবে। সাথে হায়দ্রাবাদকেও আবার পয়েন্ট খোয়াতে হবে। এত বিপুল সমীকরণ খাপে-খাপ বসলে তবেই ক্রিকেটের মক্কায় বাংলার একমাত্র দলের সমর্থনে ফেটে পড়তে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এখন অপেক্ষা ছাড়া উপায়ান্তর নেই।