সি এ বি এর তরফে ক্রিকেটপ্রেমী বঙ্গবাসীকে নতুন বছরে আশাতীত প্রাপ্তির বার্তা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সাধারণ দর্শকদের রনজি ফাইনাল দেখতে পাওয়ার চমকপ্রদ উপহার এ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যমন্ডিত তথা মর্যাদাব্যঞ্জক প্রতিযোগীতার ফাইনাল ঘিরে জনমানসে উৎসাহ তথা উত্তেজনার মাত্রা বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা যায়।
৩৩ বছর পর ঘরের মাঠে ভারতসেরা হওয়ার লড়াইতে বাংলার প্রতিপক্ষ সৌরাষ্ট্র যাদের কাছে হেরে তিন বছর আগে ট্রফি জেতার স্বপ্নভঙ্গের দীর্ঘশ্বাস এর বেদনাবিধুর স্মৃতি এখনও টাটকা।সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রিকেটের নন্দনকাননে ১৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা মহারণ মনোজ তিওয়ারিদের কাছে প্রতিশোধের লড়াই।ইডেনের বাইশ গজে মুকেশ কুমার,আকাশ দীপদের কথা ভেবে পর্যাপ্ত সবুজাভ আস্তরণ রাখা হবে কিনা সে কৌতুহলের পাশাপাশি জাতীয় দলের বাঁ হাতি মিডিয়াম পেসার জয়দেব উনাদকাট এর অন্তর্ভুক্তিতে ২০২০ এর চ্যাম্পিয়নদের কতটা শক্তিবৃদ্ধি হল সে চর্চাও সমান প্রাসঙ্গিক।শেষ তিনটি রনজি সংস্করণে বাংলার ধারাবাহিকতা কুর্নিশযোগ্য।টানা তিনবারের সেমিফাইনালিস্ট তথা দুবারের ফাইনালিস্ট লক্ষ্মীরতন শুক্লার প্রশিক্ষণাধীন বাংলাকে নিয়ে বঙ্গীয় ক্রিকেট মহলে প্রত্যাশার পারদ ক্রমশঃ উর্দ্ধমুখী। অনুষ্টুপ মজুমদার দের বোলিং লাইন আপ নিঃসন্দেহে এই মুহূর্তে দেশের সেরা এবং সিনিয়র জুনিয়র নির্বিশেষে প্রায় প্রত্যেকেই দলের প্রয়োজনে যেভাবে বারে বারে নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরেছেন তাতে খেতাব জয়ের ক্ষেত্রে আশাবাদী হতে সমস্যা নেই। ওপেনিং নিয়ে সমস্যা ছাড়া ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোন বিভ্রান্তির অবকাশ নেই এবং মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে অনুষ্টুপ-এর আউটজনিত অবাঞ্ছিত বিতর্কের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধের সদিচ্ছায় ফাইনালে ডি আর এস প্রযুক্তি ব্যাবহারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ সন্দেহ নেই। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি খেলোয়ার জীবনের অন্তিম লগ্নে অধরা স্বপ্নপূরণের পথে সহ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে যে একশো ভাগ সেরাটা দেওয়ার প্রত্যাশা করবেন সেকথা বলাই বাহুল্য।অতএব কাউন্ট ডাউন শুরু প্রায় সাড়ে তিন দশকের খরা কাটিয়ে ইপ্সিত মাহেন্দ্রক্ষণ এর আকুল প্রতীক্ষার।