এবার এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। কিন্তু প্রবল রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রতিযোগিতা শ্রীলঙ্কা থেকে সরে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে ২৭ আগস্ট থেকে। চলবে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যেহেতু চলতি বছরেই হবে টি২০ বিশ্বকাপ, তাই এবার এশিয়া কাপেও খেলা হবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে। ২৮ আগস্ট অভিযান শুরু করবে ভারত। সেদিন দুবাইয়ে বিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। জিম্বাবোয়ে সফরে ভারতীয় নির্বাচকরা বিশ্রাম দিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে। এশিয়া কাপে তাঁরা দু’জনেই খেলবেন। চোট সারিয়ে দলে ফিরলেও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দুটি একদিনের ম্যাচে সেভাবে সফল হতে পারেননি লোকেশ রাহুল। তাই অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ছন্দে ফিরতে আসন্ন এশিয়া কাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে রাহুলের কাছে। এবার এশিয়া কাপে পাঁচটি নজিরের মুখে টিম ইন্ডিয়া।
● টি২০ আন্তর্জাতিকে এইমুহূর্তে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী রোহিত শর্মা। তাঁর নামের পাশে লেখা আছে ৩৪৮৭ রান। গড় ৩২.৩। স্ট্রাইক রেট ১৪০.৩। টি২০ আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ শতরান রোহিতেরই (৪)। অর্ধশতরান ২৭। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি২০ আন্তর্জাতিকে ৩৫০০ রানের মাইলফলক ছুঁতে রোহিতের দরকার আর মাত্র ১৩ রান।
● পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামলেই ১০০ টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নজির তৈরি করবেন বিরাট কোহলি। ৯৯ ম্যাচে তাঁর রান ৩৩০৮। সর্বোচ্চ রানের তালিকায় আছেন তিনে। তালিকায় দ্বিতীয় নাম নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল। তাঁর রান ৩৪৪৬। গাপটিলকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে বিরাটের দরকার ১৩৯ রান।
● এশিয়া কাপ শুরুর আগে নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন লোকেশ রাহুলও। ৫৬ টি২০ আন্তর্জাতিকে তাঁর রান ১৮৩১। অর্থাৎ আর ১৬৯ করতে পারলেই ২ হাজার রান পূরণ হবে রাহুলের। সেক্ষেত্রে টি২০ আন্তর্জাতিকে রোহিত এবং বিরাটের পর তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ২ হাজার বা তার বেশি রান করার কৃতিত্ব অর্জন করবেন রাহুল।
● টি২০ আন্তর্জাতিকে প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে ৮০ উইকেট পেতে যুজবেন্দ্র চাহালের দরকার মাত্র ১টি শিকার। ৬২ ম্যাচে চাহালের সংগ্রহ ৭৯ উইকেট। গড় ২৩.৯৪, ইকোনমি রেট ৮.০৯। চার উইকেট দু’বার, পাঁচ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব চাহাল দেখিয়েছেন একবার।
● এক ক্যালেন্ডার বছরে সবথেকে বেশি টি২০ ম্যাচ জেতার রেকর্ড আছে পাকিস্তানের। ২০২১–এ ২০টি। তালিকায় দ্বিতীয় নামও পাকিস্তানের। ২০১৮–য় তারা জিতেছিল ১৭টি ম্যাচ। এক ক্যালেন্ডার বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ জেতার এই রেকর্ড স্পর্শ করার সুযোগ ভারতের (এখনও পর্যন্ত ১৬ জয়) সামনে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালেই সেটা সম্ভব। আর দুটি ম্যাচে জিতলে তালিকায় দ্বিতীয় নাম হবে ভারতেরই।