ভাগ্যটা বদলাতে বদলাতেও বদলালো না। কাছে এসে তরী ডুবল। অল্পের জন্য জয় পেলনা জিম্বাবোয়ে।
আগের দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর আজ হারারেতে শেষ ওয়ানডেতে কিন্তু ভারত দেখল অন্য এক জিম্বাবোয়েকে।
হারারেতে জিম্বাবোয়েকে আজ একটা সোনালি বিকেল উপহার দিতে পারলেন না সিকান্দার রাজা। ওয়ানডেতে নিজের শেষ ছয় ইনিংসে এ নিয়ে তিনটি সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সিকান্দার রাজা। তাঁর ১১৬ রানে আউটের পর জয়ের পথ থেকেও ছিটকে পড়ে জিম্বাবোয়ে। ভারতের ৮ উইকেটে ২৮৯ রান তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকেরা হেরে গেল মাত্র ১৩ রানে।
৪৯তম ওভারে রাজা আউট হওয়ার পর ৮ বলে ১৫ রান দরকার ছিল জিম্বাবোয়ের। এখান থেকে ম্যাচটা জিততে না পারার আক্ষেপ থাকবে জিম্বাবোয়ের। জিততে পারলে তিন ম্যাচের এই সিরিজটা হারত ২-১ ব্যবধানে , যা ছিল খুবই সম্মানজনক। কিন্তু ভাগ্যটা পাল্টাতে পারল না
স্বাগতিকেরা।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত অধিনায়ক এখনো ছন্দটা খুঁজে পান নি। ওপেনার লোকেশ রাহুলের। ব্র্যাড ইভান্সের বলে ফেরেন ৪৬ বলে ৩০ রান করে। অন্যদিকে ধাওয়ানের শুরুটা আক্রমণাত্মক হলেও রিচার্ড এনগারাভা ও ভিক্টর নিয়াউচির আঁটসাট বোলিংয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন। ১৭ রানে জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আউট হন ৬৮ বলে ৪০ রান করে। রাহুলের মতো ধাওয়ানকেও ফেরান ইভান্স।
ইনিংসে রান তোলার কাজটা করেন মূলত গিলই। ইনিংসের শুরু থেকেই থেকেই নড়বড়ে ছিলেন কিষান। তবে ৩২ তম ওভারে রাজাকে টানা দুই চার মেরে খোলস ছেড়ে বের হন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৮২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নেন গিল। অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা খোলস ছেড়ে বের হতে না পারায় গিলের ৯৭ বলে ১৩০ ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৮৯ রানে থামে ভারত।
জিম্বাবোয়ের সামনে ছিল ২৯০ রানের টার্গেট। শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবোয়ে। প্রথম আঘাতটা হানেন কুলদীপ যাদব। এরপর ইনোসেন্ট কাইয়াকে তুলে নেন দীপক চাহার। পাঁচে নামা সিকান্দার রাজা উইকেটে এসে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তাঁর আগে শন উইলিয়ামস ফিরেছেন ৪৫ রান করে। অধিনায়ক চাকাভাও ফেরেন ১৫ রানে। কিন্তু এই ম্যাচে জিম্বাবোয়ে রান তাড়ার গল্পটা রাজার।
বোলিংয়ে দারুণ করা ইভান্সের সঙ্গে নবম উইকেট জুটিতে ৭৭ বলে ১০৪ রান তুলেছেন। ১২ বছর পর ওয়ানডেতে ভারতকে হারানোর স্বপ্নটাই জলে গেল জিম্বাবোয়ের। কিন্তু টানা দুই ওভারে ইভান্স (৩৬ বলে ২৮) ও রাজা ফিরে যাওয়ার পর জিম্বাবুয়েও জয়ের পথ থেকে ছিটকে পড়ে। ভারতের পেসার আবেশ খান ৬৬ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট চাহার ও যাদব ও অক্ষয় প্যাটেলের।