ইংল্যান্ড দলে সাদা বলের বিপ্লব সফল হওয়ার পরে এবার লাল বলেও কিছু বৈপ্লবিক করতে চাইছে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। সেই লক্ষ্যেই দলে আসছে বেশ কিছু বদল। প্রথম চোখে পড়ার মতো বদল হলো স্টোকস-ওকস-ফোকসের একসাথে খেলা এবং অবশ্যই দ্বিতীয়টি হলো ওপেনার হিসেবে অন্তর্ভুক্তি বাঁ-হাতি আলেক্সান্ডার জ্যাক লীসের।
এখন প্রশ্ন কে এই আলেক্সান্ডার জ্যাক লীস বা আলেক্স লীস? তথ্যের বিশ্বস্ত সূত্র বলছে মূলত ইয়র্কশায়ার এবং ডারহাম দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং মোট ১২৮টি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ, ৬৩টি লিস্ট-এ এবং ৫৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন লীস।
এই ১২৮টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ৮২টি খেলেছেন ইয়র্কশায়ার দলের হয়ে,৩৭টি ডারহাম দলের হয়ে, ৭টি ইংল্যান্ড লায়ন্স এবং একটি এমসিসি (মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব)-র হয়ে। কোনো দলের হয়েই খুব বিশাল ভালো ব্যাটিং গড় রাখেননি তিনি। ইয়র্কশায়ারের হয়ে ৩৫.১০ ব্যাটিং গড়ে ৪,৫২৮ রান, ডারহামের হয়ে ৩৬.৭২ গড়ে ২,২৪০ রান, ইংল্যান্ড লায়ন্সের পক্ষে ২৩.৬৩ গড়ে ২৬০ রান এবং এমসিসির হয়ে একটি ম্যাচে ৪১ ও ৯ করেন। তাঁর প্রথম-শ্রেণীর কেরিয়ারে মোট ৩৪ গড়ে ৭,১৫৩ রান সংগ্রহে রয়েছে, ১৭টি সেঞ্চুরিসহ। ১৭টি সেঞ্চুরির ১১টিই ইয়র্কশায়ার দলের হয়ে এবং পাঁচটি ডারহাম দলের হয়ে।
২০১০ মরশুমে কাউন্টি খেলা শুরু করে ২০১৩ মরশুমে ৪৭.৭৬ গড়ে ৬২১ রান করেন একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ (২৭৫*)। ফলস্বরূপ তিনি ডাক পান ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের হয়ে শ্রীলংকা সফরে এবং সেখানে একটি সেঞ্চুরিসহ ৭ ইনিংসে ২০৪ রান করেন।
উল্লেখ্য বিগত ২০১৯ মরশুম থেকে তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৫ ইনিংসে ১,৯৭৪ রান সংগ্রহ করেছেন।
আজ অ্যান্টিগাতে টেস্ট অভিষেক খুব আশানুরূপ হলোনা তাঁর। মাত্র ৪ রান করে তিনি ফিরে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বোলার কেমার রোচের বলে এল.বি.ডব্লু হয়ে। শেষ খবর পাওয়া অবধি ইংল্যান্ড ১৪১-৫ (৪৮.৩ ওভার)। ব্যাট করছেন জনি বেয়ারস্টো (৩৫) এবং বেন ফোকস (১৭)।