আগের ম্যাচেই রান তাড়া করে অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়েই তারা ছুঁয়েছিল দুইশর বেশি রানের লক্ষ্য।
কিন্তু পরের ম্যাচেই হয়ে গেল উল্টো, বড় রান তাড়ায় নেমে ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের টপ-অর্ডার, হারও এসেছে বড় ব্যবধানে। করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬৩ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড। এর ফলে ইংল্যান্ড এগিয়ে গেল দুই এক ম্যাচে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের সংগ্রহ পায় ইংলিশরা। টি-টোয়েন্টিতে দারুন একটা স্কোর। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। ৬ বলে ৮ রান করে মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে মোহাম্মদ নেওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ফিল সল্ট। এই ম্যাচে অভিষেক হয় সম্ভাবনাময়ী ব্যাটার উইল জ্যাকসের। তিনিও খেলেছেন দারুণ কার্যকরী এক ইনিংস।
৮ চারে ২২ বলে ৪০ রান করে উসমান কাদিরের বলে নেওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ইংল্যান্ডের রানকে বড় করতে সবচেয়ে বড় অবদান দুজনের, তারা থেকেছেন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত। ১৩৯ রানের জুটি গড়েছেন হ্যারি ব্রুক ও বেন ডাকেট।
৮ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ বলে ৭০ রান করেন ডাকেট, ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৫ বলে ৮১ রান আসে ব্রুকের ব্যাট থেকে। পাকিস্তান বোলার রা হিমসিম খেয়েছে ইংল্যান্ডকে আউট করতে। পাকিস্তানের একমাত্র সফল বোলার ওসমান কাদির। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি।
জবাব দিতে নেমে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজমকে প্রথমেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ৬ বলে ৮ রান করে মার্ক উডের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি। মোহাম্মদ রিজওয়ানও ১৪ বলে ৮ রান করে বোল্ড হন টপলের বলে।
এরপর আর সেভাবে কখনওই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটিং। অনেকটা একা লড়াই করেন শাহ মাসুদ। শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ বলে ৬৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া ২১ বলে ২৯ রান করেন খুশদিল শাহ। ইংল্যান্ডের পক্ষে সফল বলার মার্ক উড। তিনি ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট ।