আগামীকাল সন্ধ্যে সাড়ে-সাতটায় গুজরাটের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে পঞ্চদশ আইপিএল মরশুমের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে গুজরাট টাইটান্স এবং রাজস্থান রয়্যালস।
বিগত মঙ্গলবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হওয়ার পরে দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে জেতা-হারার ফারাক করে দেন প্রোটিয়া ব্যাটার ডেভিড মিলার। ইনিংসের শুরুতে স্ট্রাইক-রেট তাঁর ১০০ থাকলেও পরের দিকে তা বাড়তে থাকে এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে জয়সূচক ছক্কা মারার পরে তা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৭০-এ। গত ম্যাচে শেষ ওভারে যখন ১৬ রান বাকি ছিল গুজরাট টাইটান্স দলের, তখনই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর তিনটি লেংথ বলকে লেগ-সাইডে ছয় মেরে গুজরাটের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন মিলার।
মিলার কতো ভালো মাপের পেস-হিটার সেটা নিয়ে নিশ্চয়ই সবাইই প্রায় অবগত। এখন প্রশ্ন ছিল মিলারের স্পিন-হিটিং নিয়ে। মিলার নিজেই একটি ওয়েব-সাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে তিনি নিজের স্পিন খেলার মান আরো বাড়াতে চান। সেই লক্ষ্যে দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের দক্ষতা বাড়িয়েছেন তিনি। চলতি আইপিএলে স্পিন-বোলিংয়ের বিরুদ্ধে মিলারের ব্যাটিং গড় দাঁড়িয়েছে ৯৬ এবং স্ট্রাইক-রেট ১৪৪। ব্যাটিং গড়ের দিক থেকে শুধু জস বাটলার, লোকেশ রাহুল এবং তিলক ভার্মা এবং স্ট্রাইক-রেটের বিচারে জস বাটলার, ঋষভ পন্থ এবং তিলক ভার্মা রয়েছেন তাঁর আগে।
শুধুমাত্র রাজস্থানের বোলারদের সঙ্গে মিলারের ম্যাচ-আপ দেখলে একমাত্র রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বিরুদ্ধে কিছুটা সমীহ প্রদর্শন করেছেন মিলার। অন্য স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালকে কখনোই সমীহ করেননি ‘কিলার মিলার’। অশ্বিনের বিরুদ্ধে মিলারের স্ট্রাইক-রেট যেখানে মাত্র ১১৬ সেখানে চাহালের বিরুদ্ধে তা ১৭১! এবং গত ম্যাচেই চাহালকে দুবার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে সরাসরি পাঠিয়েছেন মিলার।
রাজস্থানের দুই ভরসাযোগ্য মিডল-ওভার বোলারের বিরুদ্ধে এমন দুরন্ত ম্যাচ-আপ থাকা মিলার যদি পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাত খোলার সুযোগ পান তবে পেস-হিটিংয়ে পারদর্শী তিনি ডেথ-ওভারে ট্রেন্ট বোল্ট, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, ওবেদ ম্যাকয়দের সামনে পেলে যে সমূলে বিনাশ করবেন – এ তো খুব স্বাভাবিক।