বাংলার ক্রিকেটে উত্থান হচ্ছে এক সৌরভের। তবে এই সৌরভের নাম সৌরভ পোদ্দার। তেরো বছরের এই ছেলেটি নিজের বয়সভিত্তিক গ্রুপ তো বটেই, নিয়মিত ভালো বল করে চলেছেন অনুর্ধ-১৯ বয়সভিত্তিক স্তরেও।
আজ অনুর্ধ-১৯ ডিস্ট্রিক্ট স্তরের ফাইনালে মানকুন্ডু স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিলো হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা দল। নূমান রাউনাকির ঝোড়ো ৩৯ ও সুমিত নাগের ৩৪ রানে ভর করে ১৯৭ রান তোলে হুগলি দল। সেখানে দশটি ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে একটি উইকেট পান সৌরভ। নিজের বয়সের তুলনায় সিনিয়র অনেককেই টেক্কা দিয়েছেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাহুল প্রসাদ ৪৫ রান এবং দেবাঞ্জন দত্ত ৩৯ রান করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় ৩৩ রান আগেই থেমে যায় উত্তর ২৪ পরগনা দল।
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বপ্ননীল সেন। ৫টি ইনিংস থেকে তাঁর মোট সংগ্রহ ২৫৮ রান, ১টি সেঞ্চুরি এবং ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। এরপরেই আছেন ২২৯ রান-করা জলপাইগুড়ির ভাস্কর রায়। তিন থেকে পাঁচে রয়েছেন হাওড়া জেলার সৌরভ যাদব (১৯৩), মেদিনীপুরের সৌম্যদীপ মান্না (১৯০) এবং হুগলির মহম্মদ আরিয়ান খান (১৪৬)।
বল হাতে সবচেয়ে সফল দক্ষিণ ২৪ পরগনার তুষার মন্ডল। ১৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় সেরা হুগলীর সুমিত দাস। তিনিও ১৫টি উইকেট নিলেও পিছিয়ে গিয়েছেন ইকোনমি রেটে। এরপরে আছেন বর্ধমানের সুজল গুপ্ত (১৪), হাওড়া জেলার শুভম সিং (১২) এবং হুগলির শুভ্রাংশু ঘোষ (১১)।
আগামী দিনে এই ধরণের খেলোয়াড়দের বড়ো জায়গায় দেখার জন্য আগ্রহী সকলেই। এছাড়াও এখনও স্কুলের গন্ডি না পেরোনো চন্দ্রহাস দাস, শরীফ আলি, সৌরভ পোদ্দারের মতো ছেলেরা যে ভবিষ্যতে আরো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে বড়ো স্তরে খেলবেন এবং বাংলাকে সাফল্য দেবেন, এমন তো হতেই পারে।