চলতি আই পি এল এর লাস্ট বয়ের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কে কে আর শিবির যে যথেষ্ঠ চাপে সেটা পরিস্থিতিসাপেক্ষ বিচার বিবেচনার নিরিখে খুব সহজবোধ্য অনুমান হিসেবে স্বীকৃতি পেতে বাধ্য।
গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে রিঙ্কু সিং এর অপ্রত্যাশিত তথা অত্যাশ্চর্য ব্যাটিং বিক্রমের দৌলতে শেষ ওভারের রোমহর্ষক রূপকথার পর শেষ দু ম্যাচে অভাবিত পদস্খলনের ছবি বলে দিচ্ছে চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের দল কার্যত অস্তিত্বগত সঙ্কটের মুখোমুখি। প্রতিপক্ষ দিল্লী ক্যাপিট্যালস এখনও পর্যন্ত জয়হীন এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর ভোকাল টনিকে ডেভিড ওয়ার্নার বাহিনী কতটা চাঙ্গা হবে সেটা গুরুতর প্রশ্ন। দলের অন্যতম ভরসা ওপেনার পৃথ্বী শাহ এর প্রদর্শন এযাবৎ শোচনীয় বললেও কম বলা হবে। অধিনায়ক নিজে রান পেলেও তার স্ট্রাইক রেট আধুনিক টি টোয়েন্টি ঘরানার অনুপযুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। মিচেল মার্শের মত ব্যাটসম্যানও ছন্দহীন।এরকম ছন্নছাড়া বিপক্ষকে সামনে পেয়ে আত্মবিশ্বাস এর তুঙ্গে থাকা উচিত যে দলের তারা নিজেরাই যখন সমস্যা জর্জরিত তখন এই ম্যাচের তর্কাতীত ফেভারিট বাছতে যাওয়া চরম মূর্খামি। ওপেনিং জুটি নিয়ে অনাবশ্যক হাস্যকর পরীক্ষানিরীক্ষার ফল যে যথেষ্ট নেতিবাচক সেই বোধোদয় এবার নাইট ম্যানেজমেন্ট এর হয়ে যাওয়া উচিৎ।ডাগ আউটে লিটন ও জেশন রয়ের মত জবরদস্ত দুই বিদেশি ওপেনার মজুত থাকা সত্ত্বেও গুরবাজ কেন প্রথম একাদশে সেই প্রশ্ন যুক্তিসঙ্গত।পন্ডিতজী সেই সমালোচনাকে মান্যতা দিলে আজ রয় বা লিটনের মধ্যে যে কোন একজনের নাইট জার্সিতে অভিষেক হওয়ার কথা।প্রথমজনের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়লে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় এন জগদীশন এরই থাকার সম্ভাবনা প্রবল। ভেঙ্কটেশ আয়ার রানে ফেরায় মিডল অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তা আপাতত কমলেও রাসেল কেন আরও ওপরে ব্যাট করতে আসবেন না সেই জল্পনা থামবার কোন লক্ষণ নেই। মুম্বাই ম্যাচে বহুল কাঙ্ক্ষিত রাসেল ঝড়ের সামান্য ঝলক দেখা গেছে। আরও বেশী বল খেলার সুযোগ পেলে তিনি যে স্বমূর্তি ধারণ করবেন না সেরকম নিশ্চয়তা নেই। বোলিং বিভাগ আপাতত নাইট ম্যানেজমেন্ট এর প্রধান মাথাব্যথার কারণ।লকি ফার্গুসন এখনও পর্যন্ত ন্যুনতম প্রভাব বিস্তারে ব্যর্থ।তার সম্ভাব্য বদলি হিসেবে সাউদিও যে নির্ভরযোগ্য তার প্রমাণ মেলেনি। উমেশ যাদব ধারাবাহিক নন বরং স্পিন বিভাগ তুলনামূলকভাবে বেশি দাপট দেখাতে পারছে।তাই বোলিং লাইন আপ অপরিবর্তিত থাকবে নাকি নতুন কোন চমক অপেক্ষা করে থাকবে সে নিয়ে কৌতুহল থাকছেই।