অবনমনের শেষ লড়াই।

সিএবি আয়োজিত রেলিগেশন লিগের শেষ ম্যাচ শুরু হয়ে গেলো কলকাতা ময়দানে। রেলিগেশন লিগের শেষ রাউন্ডে অন্য রাউন্ডের মতো হয়েছে চারটি ম্যাচ।

আজ চারটি ম্যাচের একমাত্র একটি ম্যাচই শেষ হয়েছে। বেলগাছিয়া ইউনাইটেড এবং ভূকৈলাশ স্পোর্টিং ক্লাবের সেই ম্যাচে ভূকৈলাশ ১০ উইকেটে হারিয়েছে বেলগাছিয়া ইউনাইটেডকে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলার সৌরভ শর্মা, সুখমিত সিং এবং দিলশাদ খানের দাপটে ধুঁকতে থাকে বেলগাছিয়া দল। তিনজনের প্রত্যেকেই তিনটি করে উইকেট নেন। বেলগাছিয়া দল ১৬০ রানে অল-আউট হয়ে গেলে ভূকৈলাশ স্পোর্টিংয়ের ওপেনার ফুসইল খান এবং তথাগত সিংয়ের ঝোড়ো ইনিংস মাত্র ২১ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলতে সাহায্য করে ভুকৈলাশকে।

নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউট এবং টালিগঞ্জ অগ্রগামীর মধ্যে কলকাতার ওয়াই. এম. সি. এ মাঠে হওয়া ম্যাচে দীপাঞ্জন মুখার্জির ধৈর্যশীল ৫৭ এবং ইপু সাহার ৩৮ রান নেতাজি দলকে ২১৬ রানে পৌঁছে দেয়। প্রতিপক্ষ দলের দীপক সিং নেন চারটি উইকেট। জবাবে বর্তমানে টালিগঞ্জ দল ১৪ ওভার শেষে ৫৬ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে ব্যাট করছে।

হাইকোর্ট মাঠে আজ মুখোমুখি হয়েছিলো ডালহৌসি ক্লাব এবং বি. এন. আর ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করা ডালহৌসি ক্লাবের নবাঙ্কুর ঘোষ করেন ৫৯ এবং দেবজ্যোতি ঘোষ করেন ৪৯। নারায়ণ রানা ৭টি উইকেট নিয়ে ডালহৌসির ইনিংস শেষ করেন ২৭২ রানে। ব্যাট করতে নেমে বর্তমানে বি. এন. আর ক্লাব ৩ রানে কোনো উইকেট হারায়নি।

কালীঘাট মাঠে অবশ্য স্পোর্টিং ইউনিয়ন দলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বিক্রম দেখিয়েছে কলিকাতা পোর্ট ট্রাস্ট দল। রাজা অধিকারী এবং অখিলেশ যাদব নিজেদের মধ্যে ১৮৮ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করে অক্সিজেন দেন দলকে। একসময় ১৩৫-৫ অবস্থায় ধুঁকতে থাকা দল এই পার্টনারশিপে পুনরুজ্জীবিত হয়ে স্কোরবোর্ডে দিনের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৭২ রান।

আপাতত এই ম্যাচের শেষে হবে রেলিগেশনের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল। ফাইনালে হেরে যাওয়া দল নেমে যাবে দ্বিতীয় ডিভিশনে।