সোনু কি তবে উদীয়মান তারকা?

সোনু নারায়ণ নওবাগ। সিএবির কোনো ম্যাচে স্কোরবোর্ড আপনাকে পুরো নাম দেখাবেনা। তাঁর নাম আসে শুধুমাত্র সোনু নারায়ণ হিসেবেই।

এমনই স্কোরবোর্ড দেখেছিলো চলতি বছরের ১৭ই মার্চ ডিস্ট্রিক্ট-স্তরের ফাইনালে। হুগলী রিভার্স দলের এই অনূর্ধ-২৩ ওপেনার সেদিন নদীয়া সুপার ড্যাজলার দলের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে ইডেনের ভরদুপুরে রীতিমতো ভালো সামলেছিলেন দুই নদীয়া বোলার সুশান্ত দাস এবং সায়ন ঘোষকে। অন্য ওপেনার অভিজিৎ মালের সঙ্গে ৭১ রানের পার্টনারশিপ দেন হুগলী দলকে। দুর্ভাগ্যবশত সৌম্যদীপ বাগচীর বলে উইকেটের পিছনে সুপ্রদীপ দেবনাথের একটি দুর্দান্ত গ্লাভওয়ার্ক সেদিন তাঁর ইনিংসের সমাধি ঘোষণা করে ২৯ রানে।

হুগলী রিভার্স দল কেন ডিস্ট্রিক্ট টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তা ঘাঁটতে বসলে মূলত যা চোখে পড়ে তা হলো ঋতম পোড়েলের অনবদ্য পারফরমেন্স। একমাত্র ফাইনাল বাদ দিলে প্রতি ম্যাচেই সামনে থেকে ব্যাটিংকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ঋতম। এছাড়া রয়েছেন অর্ণব নন্দী, সৌম্য পাকড়ে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা সোনুর অবদান। কোচবিহারের বিরুদ্ধে একটি সেঞ্চুরি নিয়ে পুরো টুর্নামেন্টে ৫০.৮০ গড়ে করেছেন ২৫৪ রান। সম্পূর্ণ টুর্নামেন্টে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।

ক্লাব ক্রিকেটে বর্তমানে পাইকপাড়া স্পোর্টিংয়ের হয়ে খেলছেন সোনু এবং গ্রুপ-‘এ’-তে মোট ৪০.১৭ গড়ে করেছেন ২৪১ রান। রয়েছে একটি ১৪৫ রানের ইনিংস। ইন্টার-ডিস্ট্রিক্ট টিটোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলে সেরকম সফলতা পাননি তবে এছাড়া বাংলার ক্রিকেটে বেশ ভালোরকমের পারফরমেন্স করছেন সোনু নওবাগ।

কলকাতা ইউনিভার্সিটির চারুচন্দ্র কলেজের এই ছাত্র সুযোগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় দলে। প্রশ্ন করায় বললেন অনূর্ধ-২৩ দলের হয়ে খেলার ব্যাপারেও বেশ আশাবাদী তিনি। এখন কতটা পারফর্ম করলে তাঁর সামনে বাংলা দলের দরজা খুলবে সেটাই দেখার।