মহিলা ক্রিকেটে বৈপ্লবিক পদক্ষেপ?

চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের ৭ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ- এই একপক্ষকাল ধরে বঙ্গ ক্রিকেটে হতে চলেছে এক অভিনব উদ্যোগের বাস্তবায়ন। ওই সময়ে কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে মোট ছয়টি দল নিয়ে প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাইজুস্ বেঙ্গল উমেন্স টিটোয়েন্টি ব্লাস্ট।

 ছবি সৌজন্যে: বাইজুস

২০২০ সালে বাংলার টিটোয়েন্টি ক্রিকেটের পরিকাঠামোয় বদল আনার জন্য ছেলেদের মধ্যে এইরকম টিটোয়েন্টি লিগ শুরু করে সিএবি। গতকাল শহরের একটি নামী পাঁচতারা হোটেলে সম্পূর্ণ হয় মহিলা টিটোয়েন্টির প্লেয়ার ড্রাফট। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে মোট ছয়টি দল। দলগুলি হলো- ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, রাজস্থান ক্লাব, এরিয়ান্স ক্লাব, কালীঘাট ক্লাব, টাউন ক্লাব এবং মহমেডান স্পোর্টিং।

অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রুমেলী ধরকে অধিনায়ক রেখে দল সাজিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। দলে আছেন বৃষ্টি মাঝি, শ্রেয়সী আইচ, পূজা রজক, অন্তরা ঘোষের মতো খেলোয়াড়। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের অধিনায়িকা নদীয়া জেলার মিতা পাল এবং দলে আছেন বিদিশা দে’র মতো নাম। রাজস্থান ক্লাবের অধিনায়িকা বাংলার হয়ে দুরন্ত পারফর্ম করা ধারা গুজ্জার যিনি ব্যাটিংয়ে অসাধারণ নির্ভরতা দিয়ে আসছেন বাংলা দলকে।এছাড়াও টাউন ক্লাব, এরিয়ান ক্লাব এবং কালীঘাট ক্লাবের অধিনায়িকা যথাক্রমে সুকন্যা পরিদা, ভি. আর. ভ্যানিথা এবং গওহর সুলতানা।

টুর্নামেন্টে সামিল হয়েছেন প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটাররাও। মেন্টরিং বা কোচিং পদে যুক্ত থাকছেন ঋতুপর্ণা রায়, প্রিয়াঙ্কা রায়, গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়, পারমিতা রায়ের মতো স্বনামধন্য ক্রিকেটীয় ব্যক্তিত্বরা।
সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার যে বিবৃতি সিএবি মিডিয়া প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে ” আমরা এই টুর্নামেন্ট শুরু করতে পেরে খুব খুশি। এটা এক বছরের টুর্নামেন্ট হবেনা এবং আমরা চেষ্টা করবো প্রতিবার আরো উন্নতমানের টুর্নামেন্ট করার।”

এরিয়ান্স ক্লাবের মেন্টর গার্গী ব্যানার্জী বললেন “এটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ও মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত। সিএবি মহিলা ক্রিকেটারদের একটি বড়ো প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে এবং নতুন খেলোয়াড়দের জন্য পারফরমেন্স করার একটি ভালো চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং এর ফলে তারা রাজ্য এবং জাতীয় দলেও সুযোগ পেতে পারে। এই টিটোয়েন্টি ব্লাস্ট টুর্নামেন্ট খেলোয়াড়দের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সক্ষম হবে।”

আর কয়েকদিনের অপেক্ষা এবং তার পরেই বঙ্গ ক্রিকেটে হয়তো এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ আসতে চলেছে যাতে উপকৃত হবেন জেলা এবং গ্রামের দিকের বহু অজানা মহিলা ক্রিকেটের। তাই নিয়ে আপাতত সিএবিকে সাধুবাদ সকলের।