সদ্য কন্যাহারা পিতার শতরানে রঞ্জিত রঞ্জি

কথায় বলে সন্তানহারা হওয়ার যন্ত্রণা আসলে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার একটি। কিন্তু সেই যন্ত্রণাকাতর অবস্থাতেও এসে ক্রিকেট মাঠে ফেরা এবং সেঞ্চুরি করা – এ এক বিরাট রকম অসাধ্য কাজ।

পিতৃহারা হওয়ার পর হয়তো করেছেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকার বা কন্যা হারানোর বেশ কিছুদিন পরে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুরন্ত খেলেছেন পাকিস্তানের আসিফ আলী, বিরাট কোহলির পিতৃহারা হওয়ার পর পরের দিন সকালে এসে ৯০ রানের ইনিংস খেলা আজও দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকে চারিত্রিক দৃঢ়তার। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ‘রিটায়ার্ড নট আউট’ ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রিনিজ পর্যন্ত কিডনির অসুখে ভুক্তভোগী কন্যাকে হারানোর ২০ দিন পরে কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারসেস্টারশয়ারের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১১৬ এবং পরবর্তীতে ডেরেক আন্ডারউড, ক্রিস কাউড্রে সম্বলিত কেন্টের বিরুদ্ধে করেন ৬৮ এবং তার পরেই খেলেন ১৯৮৩ প্রুডেন্সিয়াল বিশ্বকাপ। কিন্তু আজ কন্যাহারা হয়ে তার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সমাপ্ত করে ফিরে এসে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলে যেন এক অন্য উদাহরণ তৈরী করলেন বরোদার ২৯ বছর বয়সী ব্যাটার বিষ্ণু সোলাঙ্কি।

ছবি : ইন্টারনেট

বাংলার বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি খেলেননি সদ্যোজাত কন্যার মৃত্যুর খবর আসায়। সেই সময় টিম ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে যোগ দেন তিনি এবং অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দলের সঙ্গে যোগ দেন বিষ্ণু। এবং তার পরের দিন চন্ডিগড়ের বিরুদ্ধে একটি দর্শনীয় সেঞ্চুরি করে ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং দলকে ৩৯৮ রানের ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন।

বরোদার ব্যাটসম্যান বিষ্ণু বরোদা দলের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৩ গড়ে ১৬৭৮ রান করেছেন এবং ইন্ডিয়া সি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

আজ অসাধারণ এক মনের জোরের পরিচয় দিলেন তিনি।

সূত্র:- ক্রিকেটার শিশির হাত্তাঙ্গাড়ির টুইটার।