জন্মদিনের ক্যালেন্ডার – অন্তিম পর্ব

মার্চ ১২, ১৯৩৮। অমৃতসরে জন্ম ১৯৫৫-৫৬ থেকে ১৯৬৩-৬৪ পর্বে ৮ টেস্ট খেলা বিজয় মেহরার। দিল্লি, রেলওয়েজ ও অধুনালুপ্ত পূর্ব পাঞ্জাবের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা এই পাঞ্জাবি ওপেনার সমকালে কনিষ্ঠতম ভারতীয় (১৭ বছর ২৬৫ দিন) হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বোম্বে (ব্র্যাবোর্ন) টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ৪১৭) অর্জন করেন ইন্ডিয়া ক্যাপ। ১৬ বছর ২০৫ দিনে টেস্ট অভিষেকের সূত্রে নজিরটি যদিও অধুনা রয়েছে শচীন তেন্ডুলকরের দখলে।

মার্চ ২৬, ১৯৬৯। জলন্ধরে জন্ম ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৬-৯৭ পর্বে ৬ টেস্ট খেলা বিক্রম রাঠোরের। বিংশ শতকের শেষলগ্নে যেদিন নয়ন মোঙ্গিয়ার কাঁধেও এসে পড়ছিল নতুন বলের মোকাবিলার ভার সেই পর্বেই উত্থান এই পাঞ্জাবি ওপেনারের। যদিও টেস্ট ক্রিকেটের আসরে কোনওদিনই সেভাবে ভরসা জোগাতে পারেনি তাঁর ব্যাট।

এপ্রিলের পাতায় বাকি আছে দু’টি তারিখ। ন’ বছরের ফারাকে যার প্রথমটিতে জন্ম তিনশো তিনের ভিড়ে দুই পুরুষের।

এপ্রিল ৩, ১৯৬৪। দিল্লিতে জন্ম ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লি ও হিমাচলপ্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করা অজয় শর্মার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬৭.৪৬ ব্যাটিং গড়ের এই অধিপতিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পূরণ হয়নি কোনও আশাই। উপরন্তু ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়ানোয় যেতে হয় আজীবন নির্বাসনে। নরেন্দ্র হিরওয়ানির ষোলো উইকেটে স্মরণীয় টেস্টটি খেলেছিলেন এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার।

এপ্রিল ৩, ১৯৭৩। দম্বিভিলিতে জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০০০-০১ পর্বে ৩ টেস্ট খেলা নীলেশ কুলকার্নির। জীবনের প্রথম টেস্ট ডেলিভারিতেই শ্রীলঙ্কা ওপেনার মারভান আতাপাত্তুকে সাজঘরে ফেরত পাঠানো (আজ অবধি আর কোনও ভারতীয় বোলারের নাম জড়িত হয়নি এই বিরল নজিরের সঙ্গে) এই দীর্ঘকায় (৬’৪’’) মুম্বইকর অর্থোডক্সের অবশিষ্ট কেরিয়ার রয়ে গিয়েছে সাদামাটাই (পরবর্তী ৭৩৭-টি ডেলিভারিতে আর-একটিই উইকেটের সূত্রে টেস্ট ক্রিকেটের আসরে এঁর বোলিং গড় পৌঁছেছিল ১৬৬.০০-তে)। প্রসঙ্গত, আতাপাত্তুর বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে সনৎ জয়সুরিয়া ও রোশন মহানামা জুটির ম্যারাথন ৫৭৬-এর দৌলতে সেবারের কলম্বো (প্রেমদাসা) টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ১,৩৭৪) ৯৫২/৬-এ ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা।

এপ্রিল ১৬, ১৯৫৮। পুত্তুরে জন্ম ১৯৮৩-৮৪ পর্বে ঘরের মাঠে যথাক্রমে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পরপর ২ টেস্ট খেলা কর্ণাটকি অর্থোডক্স রঘুরাম ভাটের। মনিন্দর সিং ও রবি শাস্ত্রীর উপস্থিতিই সম্ভবত আর দীর্ঘ হতে দেয়নি এঁর কেরিয়ার।

মে-র পাতায় বাকি রয়ে গিয়েছে মোটে একটাই তারিখ।

মে ২০, ১৯৭৮। বোম্বেতে জন্ম ২০০৭-এর বাংলাদেশ সফরে ২ টেস্ট খেলা রমেশ পাওয়ারের। মুম্বইয়ের ২০০২-০৩ রণজি জয়ের নেপথ্যে ব্যাটে-বলে বেশ বড় অবদানই ছিল এই স্থূলকায় অফস্পিনারের।

অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরের পাতায় পড়ে আছে এখনও দু’টি করে তারিখ।

অগাস্ট ১২, ১৯৮৯। বোকারোয় জন্ম ২০১৯-২০ থেকে ২০২০-২১ পর্বে ২-টি টেস্ট খেলা শাহবাজ নাদিমের। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ভাল পারফর্ম করে চলা এই ঝাড়খণ্ডী অর্থোডক্সের কপাল খুলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০১৯-২০ রাঁচি টেস্টের (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ২,৩৬৫) আগের সন্ধ্যায়। ডাক আসে আহত কুলদীপ যাদবের শূন্যস্থান পূরণের।

অগাস্ট ২৯, ১৯২৩। নাগপুরে জন্ম শাহ ন্যালচাঁদের সঙ্গেই একটিমাত্র টেস্ট খেলা হীরালাল গায়কোয়াড়ের। নতুন বলে মধ্যম গতির পেস ও পুরনো বলে অর্থোডক্স গোত্রের স্পিনে পারঙ্গম মানুষটি মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন অধুনালুপ্ত হোলকার এবং সেন্ট্রাল প্রভিন্সেস ও বেরারের হয়েও।

সেপ্টেম্বর ১৯, ১৯৭৭। আগ্রায় জন্ম ২০০৩-০৪ থেকে ২০০৪-০৫ পর্বে ১০ টেস্ট খেলা দিল্লির ওপেনার আকাশ চোপড়ার। স্ট্রাইক রেটের দিকে নজর দিলে দীর্ঘতর হতেই পারত এঁর কেরিয়ার। বীরেন্দ্র শেহবাগের সঙ্গী হিসেবে অপর দিল্লি ওপেনার গৌতম গম্ভীরের উত্থান পরবর্তীকালে নির্বাচকদের নজর থেকে দূরে ঠেলে দেয় টেকনিকের নিরিখে নিখুঁত আকাশকে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ১৯৩০। বোম্বেতে জন্ম ১৯৫৮-৫৯ থেকে ১৯৫৯-৬০ পর্বে ৫ টেস্ট খেলা মিডল-অর্ডার ব্যাটার রামনাথ কেনির। ঘরোয়া ক্রিকেটে বোম্বে ও বাংলার প্রতিনিধিত্ব করা কেনিকে ভারতীয় ক্রিকেট মনে রাখবে তরুণ সুনীল গাভাসকারের বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে সঠিক পরিচর্যার সূত্রেও।

নভেম্বরের পাতায় বাকি রয়েছে একটাই তারিখ।

নভেম্বর ১১, ১৯২৪। বোম্বেতে জন্ম ১৯৪৬ থেকে ১৯৫২-৫৩ পর্বে ১০ টেস্ট খেলা রুসি মোদির। চারের দশকের বোম্বে ক্রিকেটের তিন তারকার মধ্যে দুই বিজয়ের (হাজারে ও মার্চেন্ট) নাম আজও ক্রিকেট-রসিকদের মুখে মুখে ফিরলেও বিস্ময়কর ভাবে বিস্মৃতপ্রায় হয়েছে মোদির নামটাই। প্রসঙ্গত, নিজের আত্মজীবনীতে ভেজা উইকেটে ১৯৪৭-৪৮ সফররত ভারতীয় দলের বিপর্যয়ের নেপথ্যে যে তিনের অনুপস্থিতিকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করেন অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলার রে লিন্ডওয়াল, তাঁদের অন্যতম ছিলেন মোদি (বাকি দুই হলেন মার্চেন্ট ও মুস্তাক)। বোম্বে ও পারসিদের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা অতীত দিনের এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার স্রেফ ১৯৪৪-৪৫ রণজি মরশুমেই করেন সহস্রাধিক রান (২০১.৬০ গড়ে)। পরবর্তী চার দশকেও যে নজিরে ভাগ বসাতে পারেননি আর কোনও ভারতীয় প্রথম শ্রেণির ব্যাটার। এই সময়পর্বে খেলে যাওয়া নামগুলি মনে করলেই আজকের দিনে টের পাওয়া যায় মোদির মাহাত্ম্য।

পাঠকের জন্য ডিসেম্বরের পাতায় এখনও অপেক্ষা করে আছে দু’টি তারিখ।

ডিসেম্বর ১৮, ১৯৬১। বোম্বেতে জন্ম ১৯৮৫-র শ্রীলঙ্কা সফরে ২ টেস্ট খেলা মুম্বইকর ওপেনার লালচাঁদ রাজপুতের। সুনীল গাভাসকারের মিডল-অর্ডারে ব্যাট করতে যাওয়ার আগ্রহই এই পর্বে সুযোগ এনে দিয়েছিল রাজপুতের সামনে।

ডিসেম্বর ২৪, ১৯৮৮। আলিগড়ে জন্ম ২০০৫-০৬ থেকে ২০১২-১৩ পর্বে ৩ টেস্ট খেলা লেগস্পিনার পীযূষ চাওলার। ঘরোয়া ক্রিকেটে যিনি প্রতিনিধিত্ব করেছেন উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাটের।

শেষ হল নয় দশক ছুঁইছুঁই সময়পর্বে সাদা পোশাকে লাল বলের ক্রিকেটের সবুজ আঙিনায় ভারতবর্ষের প্রতিনিধিত্ব করা তিনশো তিন পুরুষের জন্মদিনের দীর্ঘ ইতিবৃত্ত।

দেবেন্দ্র বুন্দেলা নামটির সঙ্গে পরিচয় হয়তো খুব কম পাঠকেরই। অস্বাভাবিক নয়। দু’ দশকের বেশি প্রহর জুড়ে (১৯৯৫-৯৬ থেকে ২০১৭-১৮) মধ্যপ্রদেশের মিডল-অর্ডারকে ভরসা জুগিয়ে ১৬৪-টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে চললেও টেস্ট ক্যাপ তো আর জোটেনি মানুষটার। তবে যাঁদের দৌলতে কপাল পুড়েছিল বুন্দেলার, তাঁদেরই অন্যতম এক হায়দরাবাদিকে হয়তো এত তড়িঘড়ি বিস্মৃত হননি আপামর ভারতবাসী। বলছি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০০-০১ কলকাতা টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ১,৫৩৫) প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ইনিংসে আড়াইশোর গণ্ডী পার করা ভিভিএস লক্ষণের কথা।

    বুন্দেলা প্রসঙ্গে একটি মূল্যবান পর্যবেক্ষণ একদা উচ্চারিত হয়েছিল লক্ষণের জবানিতে। বুন্দেলার টেস্ট ক্যাপ না পাওয়ার ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ভারতীয় ক্রিকেটের গভীরতাকে।

    ১৯৯৩-৯৪ থেকে ২০১৩-১৪ পর্বে ১৭১-টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা মুম্বইকর অমল মজুমদারের আজীবনে টেস্ট খেলতে না পারার নেপথ্যেও কি ক্রিয়াশীল থাকেনি শচীন-দ্রাবিড়-সৌরভ-লক্ষণদের সমকালে অস্তিত্বশীল হওয়ার কপালদোষই?

    রাজিন্দর গোয়েল বা পদ্মাকর শিভলকরদের ভুল সময়ে জন্মানোর কথা তো বলা হয়েছে আগেই।

    ১৯৮০-৮১ থেকে ২০০০-০১ অধ্যায়ে ক্রিয়াশীল (তথা জন এমবুরির প্রশংসাধন্য) হায়দরাবাদি অফস্পিনার কানওয়ালজিৎ সিং-এর কথাও বলাই যায় প্রসঙ্গত।

    এই দুর্ভাগাদের ভিড়েই একটি চমকপ্রদ নাম ভাউসাহেব নিম্বলকরের। মহারাষ্ট্র, বরোদা, রাজস্থান, রেলওয়েজ ও অধুনালুপ্ত হোলকারের হয়ে ১৯৩৯-৪০ থেকে ১৯৬৪-৬৫ অবধি এক সুদীর্ঘ অধ্যায়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে চলা এই মারাঠির দখলে আজও রয়ে গিয়েছে একমাত্র ভারতীয় হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোয়াড্রুপল সেঞ্চুরির নজির। উপরন্তু পুনা ক্লাব ময়দানে অনুষ্ঠিত সেই ১৯৪৮-৪৯ রণজি ম্যাচটি প্রতিপক্ষ কাথিয়াওয়াড় ছেড়ে না দিলে তৎকালীন বিশ্বনজির (ডন ব্র্যাডম্যানের অপরাজিত ৪৫২) অতিক্রমের সুযোগও ছিল তাঁর সামনে। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রাজকোটের ঠাকুরসাহেবের মাঠ থেকে দল তুলে নেওয়ার মুহূর্তে ৪৪৩-এ ব্যাট করছিলেন কখনও টেস্ট ক্যাপ না পাওয়া নিম্বলকর।

    আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ফুরিয়ে যাওয়ার পরও বুন্দেলা, কানোয়ালজিৎ সিং, গোয়েল বা নিম্বলকরদের নাম মনে করিয়ে দেওয়া কিন্তু কোনও বঞ্চনার গল্প শোনাতে নয়। বরং রাহুল দ্রাবিড়ের সেই উক্তিটাকেই প্রতিষ্ঠা দিতে— দেশের হয়ে মাত্র একটিও টেস্ট খেলার ডাক যাঁদেরই এসেছিল তাঁরা সক্কলেই মহান ক্রিকেটার। সেই যুক্তিতেই থিরুমালাই শেখর ও বেঙ্কটরামন স্বামীর নাম দু’টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মহান ক্রিকেটারদের গোত্রেই। মনে রাখতে হবে, স্রেফ টেস্ট ক্যাপটুকু অর্জনের নেপথ্যেও সাদা জামায় রয়ে যায় বিপুল ঘাম, রক্ত ও শ্রমের দাগ। যেহেতু ওই টুপিটা অর্জন না করাদের ভিড়ে রয়ে যান কোনও এক রাজিন্দর গোয়েল, কোনও এক ভাউসাহেব নিম্বলকর। ক্লাব বা জেলাস্তর থেকে রাজ্য, রাজ্য থেকে অঞ্চল, অঞ্চল থেকে দেশ— খুব সহজসাধ্য নয় এই পুরো যাত্রাপথটুকু।

    উপরন্তু ভারতবর্ষের মতো আসমুদ্রহিমাচলের এই মহতী দেশের শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য এক শতাংশ কিশোরও যদি বছর বছর আত্মনিয়োগ করে টেস্ট ক্রিকেটের ময়দানে ইন্ডিয়া ক্যাপটা মাথায় চড়ানোর স্বপ্নে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেহারাটা কল্পনা করতেও ভয় লাগে। এই দীর্ঘ ম্যারাথনের শেষ পাকে কিন্তু বরাদ্দ থাকে মাত্র এগারোটি ক্যাপ।

আজ অবধি সাদা পোশাকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা তিনশো তিন ভাগ্যবান পুরুষের ভিড়ে অবশ্যই সক্কলেই সমান নন মানুষ হিসেবে। এই ভিড়ে যেমন মিলবে মেধাবী লক্ষণ বা ওয়াড়েকরদের খোঁজ, পাওয়া যাবে বহুতর অল্পশিক্ষিত মানুষেরও সন্ধান। যেমন দেখা মিলবে মনসুর আলি খানের মতো রুচিশীল অভিজাতের, পরিচয় হবে ইব্রাহিম মাকার মতো সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণি থেকে উঠে আসা মুখের সঙ্গেও। এই ভিড়েই আবার মিলবে ভারতবর্ষের নোংরা রাজনীতির অলিন্দে ঘোরাঘুরি করা বহুতর চরিত্রেরও হদিস। কিন্তু সেটাই কি শেষ কথা? সাদাকালোর খেলা, আলো-আঁধারির চিয়ারোস্কুরোয় মিলেমিশেই তো একদিন এই মহতী দেশের জনসমাজ থেকে উঠে এসেছিল মহাভারতের মহাভাষ্য।

সাদা জামায় লেগে থাকা সেই বিপুল ঘাম, রক্ত ও শ্রমের অদৃশ্য চিহ্নের দৌলতে গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডারের বারোটি পাতায় অস্তিত্বশীল দুশো দু’টি তারিখের প্রতিটিই নীরব সাক্ষ্য দিয়ে চলে এক বৃহৎ মহাকাব্যের এক-একটি স্বতন্ত্র উপকাহিনির।