ওয়ান-ডে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে ভবানীপুর। পরাজয় তপনের।

তপন মেমোরিয়াল দলকে বলা হয় সিএবি ফার্স্ট ডিভিশনের অন্যতম সেরা সাদা বলের দল। কারণ? দলের এগারোজন খেলোয়াড়ই সাদা বলের ক্রিকেটে দেশের বিভিন্ন জায়গায় লিগ খেলে থাকেন সারা বছর।
সেই তপন মেমোরিয়ালের বিরুদ্ধে আজ ভবানীপুর দলের ম্যাচ ছিলো বারাসাতের আদিত্য অ্যাকাডেমির মাঠে। বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচের সময়সীমা দাঁড়ায় বত্রিশ ওভার।


ব্যাট করতে নেমে কিপার-ব্যাটার শাকির হাবিব গান্ধী এবং কুলদীপ দেবত্বয়াল – কেউই খুব ভালো ছন্দে ছিলেননা। প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে পাঁচটি বাউন্ডারি পেলেও প্রথম স্পেলে অলোক প্রতাপ সিং ফেরান দুজনকেই। এরপরে আসেন তপন অধিনায়ক গৌরব চৌহান এবং ২৬টি বল খেলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। মাত্র ৭ রান করে প্রদীপ্ত প্রামানিকের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। এরপরে তপন মেমোরিয়ালের ব্যাটিংয়ে বলার মতো অবদান রাখেন একমাত্র কাইফ আহমেদ। ৪৩ বল খেলে তাঁর করা ৩৩ তপনকে ১৪৬-এর সম্মানীয় স্কোরে পৌঁছে দেয়। ভবানীপুর দলের হয়ে প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৩টি, অলোক প্রতাপ সিং ও আমির গনি ২টি করে এবং প্রয়াস রায়বর্মন এবং সন্দীপন দাস একটি করে উইকেট পান।
ভবানীপুর ব্যাট করতে নামলে দ্রুত আউট হন ওপেনার অভিষেক দাস (৪)। মানিক শিরোহির বলে লেগ বিফোর হয়ে তিনি ফিরে গেলে খেলার হাল ধরেন অধিনায়ক সন্দীপন দাস এবং ওপেনার কৌশিক ঘোষ। কৌশিক একদিকে ছিলেন স্বভাবসিদ্ধ ভাবে স্থির এবং উল্টোদিকে তপন মেমোরিয়াল বোলারদের আক্রমণ করছিলেন সন্দীপন দাস। দুজনের পার্টনারশিপে ওঠে ১২৮ বলে ১২৫ রান যার মধ্যে ৬৩ বলে ৪২ করেন কৌশিক ঘোষ এবং ৭৭ বল খেলে ঝোড়ো ৮৯ করেন সন্দীপন দাস। কৌশিক বিকাশ দীক্ষিতের বলে আউট হয়ে গেলে ক্রিজে আসা অগ্নিভ পান-কে (৫*) নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন অধিনায়ক সন্দীপন।
এই জয়ে ভবানীপুর ক্লাব পৌঁছলো সিএবি আয়োজিত ওয়ান-ডে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে এবং তপন মেমোরিয়াল সিএবির লাল বলের লিগ ম্যাচে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল এবং আজ ওয়ান ডে টুর্নামেন্টেও ব্যর্থতা শামিল হলো তাদের সঙ্গে।