গতকালের ১৬-৩ অবস্থা আর কিছু না হোক একটা জিনিস বেশ পরিষ্কার করেছিল যে বাংলার জয় যদি এই পরিস্থিতিতেও হাতছাড়া হয় তবে তা হতে হবে বিস্ময়কর কিছু হলেই। কারণ বাংলার পেস-ত্রয়ী ঈশান-মুকেশ-আকাশ লাল-বলের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা, উপরন্তু রয়েছেন শাহবাজ আহমেদের মতো একজন এফেক্টিভ স্পিনার যিনি প্রয়োজনে তুলে নিতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
আজ দিনের শুরুতে আকাশদীপের প্রথম বল যখন হিমালয় আগারওয়ালের স্টাম্প নড়ালো তখন যেন আরো জোরালো হলো বাংলার জয়ের সম্ভাবনা। হায়দ্রাবাদ স্কোরবোর্ড বলছে ১৬-৪ এবং চারজন প্যাভিলিয়ান ফেরৎ ব্যাটসম্যানের মধ্যে একমাত্র মিকিল জয়সোয়াল ছাড়া বাকি সবাই হায়দ্রাবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এরপর নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পার্টনারশিপে এগোতে থাকে হায়দ্রাবাদ। কিপার ব্যাটসম্যান প্রতীক রেড্ডির সঙ্গে জুটি বেঁধে হায়দ্রাবাদকে ক্রমশ ম্যাচে ফেরাচ্ছিলেন তিলক ভার্মা। কিন্তু বঙ্গ অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন শাহবাজ আহমেদকে আক্রমণে আনতেই ব্যক্তিগত তিন ওভারের মধ্যে তিনি হায়দ্রাবাদের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন। বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি ছয় নম্বরে নামা রাহুল বুদ্ধি পর্যন্ত। মাত্র ২৫ বল স্থায়ী তাঁর ইনিংস মাত্র ১৭ রানে শেষ হয় ইনিংস।
এরপর তিলক ভার্মার সঙ্গে আসেন আগের ইনিংসের ত্রাতা রবি তেজা। রবি ও তিলক যখন ক্রিজে বেশ মজবুত তখন আবার শাহবাজ আক্রমণে রবি তেজা (২৩) বন্দী হন মনোজ তিওয়ারির হাতে এবং এরপরেই এসেই ফিরে যান গত ইনিংসের অর্ধশতককারী তনয় ত্যাগরাজন (০)।
বাকি ছিলেন শুধু সিটিএল রক্ষণ এবং ভুবনগিরি পুন্নাইয়া। বাকি ছিলেন বলছি কারণ উল্টোদিকে থাকা তিলক ভার্মা যেমন জমাট ছিলেন তাতে তাকে সরানো প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিলো বঙ্গ-ব্রিগেডের কাছে। কিন্তু মুকেশ কুমার রক্ষণ এর উইকেট নেওয়ার মাত্র ৬ মিনিট পরেই পরিবর্ত ফিল্ডার প্রদীপ্ত প্রামাণিকের হাতে আকাশদীপের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিলক ভার্মা।
আজ ৭২ রানে জয়ের সঙ্গে উজ্জ্বল ছিলো বাংলা বোলিং বিভাগ। দলগত পারফরমেন্সের ভিত্তিতে পরপর দু’টি ম্যাচে দু’টি জয় পেয়ে বেশ উজ্জ্বল বাংলা দল। কিন্তু এসবের মধ্যেই যেন কোথাও আড়ালে চলে গেলেন ৯০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলা তিলক ভার্মা। তার এক কারণ যদি হয় পরাজয় তবে দ্বিতীয় কারণ হলো সঙ্গীর অভাব। এই জয়ের মাঝেও তাই জয়সূচক তিলক তাঁর না পরা হলেও কুর্নিশসূচক তিলক তাঁকে পরাতে বাধ্য ক্রিকেট।
অভিনন্দন বাংলা দলকে।