সরাসরি মুস্তাক আলী ট্রফির নকআউটে বাংলা


অভিমন্যু ঈশ্বরণের অ্যাঙ্কারিং ইনিংস, শাহবাজ আহমেদের ফিনিশ এবং স্পিন চতুষ্টয়ের দাপট- সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফির অন্যান্য ম্যাচের মতো ছত্তিশগড় ম্যাচেও বাংলার জয়েও রইল একই ফর্মুলা।
দিনের শুরুতে রাণজ্যোৎ সিং খাইরা এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণের ব্যাটিং জুটি বাংলাকে এগিয়ে দিয়েছিল বেশ কিছুটা। তাদের দুজনের পার্টনারশীপে বাংলা পাওয়ারপ্লেতে থাকে অপরাজিত এবং রান তোলে প্রতি ওভারে প্রায় সাত করে। এরপর রাণজ্যোৎ খাইরা ব্যক্তিগত ২১ রানে আউট হয়ে যেতে তাকে পরিবর্ত করে নামেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় করণ লাল। তরুণ করণ ম্যাচে ব্যাট হাতে খুব বেশি ইমপ্যাক্ট ফেলতে না পেরে আউট হন ১৬ রান করে। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ২৭ বলে ৩৫ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।


এরপর খেলাটি ছিল বাংলার অন্যতম দুই সেরা মিডল অর্ডার টিটোয়েন্টি ব্যাটার ঋত্বিক রায়চৌধুরী এবং শাহবাজ আহমেদের। আজ চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শাহবাজ বেশ শক্তিশালী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন। সঙ্গে থাকা ঋত্বিক রায়চৌধুরী নিজের ফর্ম ধরে রেখে ২টি ছক্কা এবং ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩১ রান। শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে হওয়া তার পার্টনারশীপে মোট ৪২ বলে ওঠে ৬২ রান যা বাংলার রানরেটকে ৭.৩০ থেকে তুলে নিয়ে যায় ৮ এ। এরপর ঋত্বিক আউট হয়ে গেলেও শাহবাজ খেলতে থাকেন নিজের ছন্দেই। আগের ম্যাচে ঝোড়ো ইনিংস খেলা অগ্নিভ পান এই ম্যাচে ছন্দ হারালেও শাহবাজ ২৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকায় বাংলা স্কোরবোর্ডে তোলে ১৬১-৫।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ চাপে পড়ে ছত্তিশগড়। আকাশদীপ-মুকেশ কুমার এবং রবি কুমার তাদের সামনে খুব ভালো বোলিং করায় পাওয়ারপ্লে শেষে তাদের রানরেট ৬ অবধি যায়নি। এরপর ম্যাচ বাংলার স্পিন ত্রয়ীর হাতে চলে গেলে তাঁরা মিডল ওভারে স্বভাবতই রান কম দিতে থাকায় একসময় আস্কিং রেটের চাপে উইকেট খুইয়ে বসে ছত্তিশগড়।
বাংলার স্পিনারদের মধ্যে প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৩ ওভার বল করে ১৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। শাহবাজ আহমেদ ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ঋত্বিক চ্যাটার্জী উইকেট না পেলেও দুইটি ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দেন।
এছাড়া পেসারদের মধ্যে আকাশদীপ ২টি, মুকেশ কুমার ও রবি কুমার ১টি করে উইকেট নেন।
এই ম্যাচ জেতার সঙ্গে সঙ্গেই নকআউট স্তর নিশ্চিত করে ফেলল বাংলা এবং তাও গ্রুপ শীর্ষে থেকে।