দলে অন্তর্ভুক্তি ঋদ্ধি-শামির, প্রত্যাবর্তন কৌশিকের

ঘোষিত হলো আসন্ন রনজি ট্রফি নক-আউটের জন্য বাংলা দল। নতুন ঘোষিত বাংলা দলে চমক রয়েছে বেশ কিছু।
প্রাথমিক চমক হিসেবে দলে এসেছেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং মহম্মদ শামি। একসময় রনজি ট্রফির গ্রুপ স্তরে খেলতে চাননি ঋদ্ধিমান এবং তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে হয়তো রনজি ট্রফির নক-আউট স্তরে খেলতে পারেন। আজ টিম নির্বাচনের সময় নিজের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন গুজরাট টাইটান্সের হয়ে দুরন্ত ফর্মে থাকা কিপার-ব্যাটার। এছাড়াও মহম্মদ শামিকে দলে রাখা হয়েছে, তবুও সিএবি জানিয়েছে যে বিসিসিআই ছাড়পত্র দিলেই খেলতে পারবেন শামি, নচেৎ নয়।
এছাড়া প্রত্যাশামতো দলে এসেছেন ক্লাব ক্রিকেটে চূড়ান্ত সফল কৌশিক ঘোষ। কৌশিক এই বছর ক্লাব-স্তরের লিগ ম্যাচগুলিতে প্রায় ৭০০ রান করেছেন এবং তার মধ্যে রয়েছে একটি ডাবল সেঞ্চুরি (২১৮) এবং দুটি সেঞ্চুরি যার একটি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ১৭৬ যা ভবানীপুরকে রেকর্ড রান তাড়া করতে সাহায্য করে।
এছাড়া দলে এসেছেন অঙ্কিত মিশ্র। বাঁ-হাতি স্পিনার অঙ্কিত সদ্যসমাপ্ত অনুর্ধ-২৫ টুর্নামেন্টে হয়েছেন বেশ সফল এবং তিনি ক্লাব ক্রিকেটেও বড়িশার হয়ে সফল হয়েছেন এবং তারই পুরস্কার পেলেন।


প্রত্যাশামতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, সুদীপ চ্যাটার্জী তো রয়েছেনই। সঙ্গে অভিষেক রমন, ঋত্বিক রায়চৌধুরীর মতো টপ-অর্ডার ব্যাটার আছেন। অল-রাউন্ডার হিসেবে শাহবাজ আহমেদ ও ঋত্বিক চ্যাটার্জীকে রাখা হয়েছে এবং জায়গা পেয়েছেন পেস বোলিং অল-রাউন্ডার মহম্মদ কাইফ। মহম্মদ শামি ছাড়াও পেস-ব্রিগেড তৈরী হয়েছে ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার, আকাশদীপ এবং নীলকণ্ঠ দাসকে নিয়ে।
ঋদ্ধিমান সাহার বিকল্প হিসেবে দ্বিতীয় কিপার হিসেবে যাচ্ছেন অভিষেক পোড়েল এবং ব্যর্থ-হওয়া সুদীপ কুমার ঘরামিকেও ব্যাক করছেন নির্বাচকরা।
গতবারের তুলনায় এই বার বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছেন অভিষেক দাস এবং কাজী জুনাইদ সাইফি। দুজনেই একটিও ম্যাচ না খেলেই গেলেন ছাঁটাই হওয়ার তালিকায়।
হেড কোচ অরুণ লাল এবং কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী ও অন্য সাপোর্ট স্টাফ সঙ্গে নিয়ে ২৬ তারিখ ব্যাঙ্গালোরের অভিমুখে উড়ে যাবে বাংলা দল। সেখানে দুটি প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলবে বাংলা।