লিড পেয়েও তিন পয়েন্টে সন্তুষ্ট থাকলো বাংলা


স্কোরবোর্ডে ১৮০ রানের লিড এবং দ্বিতীয় দিন বিকেলে অভিষেক দাসের ব্যাট থেকে আসা একের পর এক প্রত্যুত্তর যখন ইডেন গার্ডেন্সের বাউন্ডারির বাইরে পড়ছে, তখন সমর্থক থেকে শুরু করে সাংবাদিক, প্রাক্তন প্লেয়ার থেকে বর্তমান প্লেয়ার- সকলেই মনে করছিলেন যে তৃতীয় দিন চা বিরতির পর প্রায় ৫৫০-৬০০ রান তুলে প্রতিপক্ষের ওপর একটা সাইকোলজিকাল চাপ তৈরী করে জয়ের জন্য ব্যাঘ্রগর্জনে ঝাঁপাবে বাংলা।


কিন্তু অভিষেক একটি ফ্লিক মিস করে যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছেন, তখন থেকেই যেন আবার সেই চিরন্তন লাল বলের ক্রিকেটের মেজাজে ফিরে গেল বাংলা। গতিতে রান তুলতে ব্যর্থ হলেন কৌশিক ঘোষ(৭৩ বলে ২২), গতিতে রান তুলছিলেন না সুদীপ কুমার ঘরামিও। পরেরদিন সকালের সেশন সামলে অনুষ্টুপ মজুমদারও ফিরে গেলেন ৩৮ রান করে। এরপর খেলা ধরেন মনোজ তিওয়ারি এবং অপরাজিত থাকা সুদীপ কুমার ঘরামি। তারা মোটামুটি একটু গতিতে রান তোলেন এবং মনোজ তিওয়ারি পূর্ণ করেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজের ৪১তম হাফসেঞ্চুরি। এরপর মায়াঙ্ক ডাগরকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন মনোজ। ঠিক এরপরের ওভারেই সিদ্ধার্থ শর্মাকে পুল করে বাউন্ডারি মেরে নিজের প্রথম শ্রেণীর কেরিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পান। কিন্তু এর পরের বলেই আবার পুল করতে গিয়ে আউট হয়ে যান সুদীপ।
এর কিছু পরে শাহবাজ আহমেদ(১৮) এবং অভিষেক পোড়েল(১১) খেলে ২৯১-৫ স্কোরে ডিক্লেয়ার দেয় বাংলা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কখনোই মনে হয়নি যে বোলাররা পিচ থেকে কোনো সাহায্য পাচ্ছেন। সেই সুযোগ নিয়েই দাপিয়ে খেলে গেলেন ওপেনার প্রশান্ত চোপড়া এবং তিনে নামা অঙ্কিত কলসি। দুজনে প্রায় ২০০ বলের পার্টনারশীপে ১৪৬ রান তোলেন অঙ্কিত(৮২) সায়ন শেখর মন্ডলের বলে অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে। এরপর অমিত কুমারের সঙ্গে ইনিংস টেনে নিয়ে যান প্রশান্ত এবং পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি। এরপর আকাশদীপের বলে ফিরে প্রশান্ত(১০৯) ফিরে গেলে অধিনায়ক ঋষি ধাওয়ান করেন ৩১।
দিনের খেলার যখন আরো ৪০ মিনিট বাকি এবং হিমাচল প্রদেশকে তুলতে হবে আরো ১২৪ রান, তখন গোল্ডেন হ্যান্ডশেক করে ম্যাচের পরিসমাপ্তি ঘটনা দুই অধিনায়ক।
আগামী ২৭শে ডিসেম্বর থেকে নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে নাগাল্যান্ডে ম্যাচ খেলবে বাংলা।