আঙুলে চোট নিয়েও বিক্রম অনুষ্টুপের। সঙ্গত ঘরামির।

ওড়িশা ম্যাচে ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম স্লিপে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন বাঁহাতের বুড়ো আঙুলে। সেই ম্যাচে দল ফলো-অন করে পরাজিত হলেও ব্যাট করেননি অনুষ্টুপ। কিন্তু তার পরের ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাট করেন এবং শাহবাজ নাদিমের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয় মাত্র ২৫ রানে।


কিন্তু আজকের বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই আলাদা। কুমার কার্তিকেয়, আবেশ খান প্রমুখের বিরুদ্ধে ভালো শুরু করেও তা জিইয়ে রাখতে পারেননি অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং করণ লাল। পরপর দুটি ওভারে গৌরব যাদব এবং অনুভব আগারওয়ালের নিজেদের স্ট্যাম্প খুইয়ে এসেছেন দুজন।
সেই জায়গা থেকেই যেন একটা পাল্টা লড়াই দিলেন তাঁরা। ২০২২-২৩ মরশুমের রনজি ট্রফির রান সংগ্রাহকদের মধ্যে দুজনে ছিলেন দ্বাদশ এবং সপ্তদশ স্থানে। আজ প্রাথমিকভাবে তাদের লক্ষ্য ছিল উইকেট বাঁচানো এবং লাঞ্চের আগে অবধি যেন এই কাজটাই করে গেলেন সুদীপ-অনুষ্টুপ। বাড়তি ঝুঁকি নয়, আবার ভীষণ সাবধানীও নয়। দুটোর সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে নিয়ে চললেন ইনিংস।
সুদীপ-অনুষ্টুপের ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধ যেন অনেক বেশী উজ্জ্বল, অন্তত স্ট্রোক খেলার দিক থেকে। চন্দননগরের রুকু যেমন অবলীলায় আবেশ খানকে কাট, ফ্লিক মারলেন, তেমনই নৈহাটির সুদীপ ঘরামিও কুমার কার্তিকেয়কে সামনের পায়ে এগিয়ে এসে তুলে দিলেন লং অফের ওপর দিয়ে এবং পূর্ণ করলেন নিজের অর্ধশতক। দুজনের অর্ধশতকের পরেও ইনিংস চলতে থাকলো একইরকম গতিপূর্ণভাবে এবং উল্লেখ্য বাংলার রান একসময় উঠছিল প্রায় চার রান প্রতি ওভার গতিতে।
দিনের শেষে পতন হলো দুজনেরই। রুকুর ব্যাট বাংলাকে উপহার দিলো ১২০ এবং সুদীপের ব্যাট দিলো ১১২। বর্তমানে বাংলা ৩০৭-৪। ক্রিজে মনোজ তিওয়ারি এবং শাহবাজ আহমেদ।
ম্যাচ শুরুর আগে ধারাভাষ্যকাররা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ব্যাটিং উইকেটে ৪০০ বা তার বেশী রান একটা প্রতিযোগিতামূলক রান হবে। আজ তার দিকে অনেকটাই এগিয়েছে বাংলা। তৃতীয় দিন থেকে বল ঘুরলে কিন্তু ম্যাচ বেশ জমে যাবে!