ঝাড়খন্ড ব্যাট করতে নামার পরেই যেভাবে দাপট দেখাচ্ছিলেন সায়নশেখর মন্ডল এবং শাহবাজ আহমেদ তাতে মনেই হচ্ছিল ৭৭৩ অনেক দূরের নীহারিকা। রেজাল্টও হলোনা কিছু আলাদা। একমাত্র বিরাট সিংকে বাদ দিলে আর বাকি সব ব্যাটারই ছিলেন ফিকে।
বাংলার বোলিং আক্রমণ যাঁদের জন্য মূলত ভয়ানক সেই আকাশ-ঈশান-মুকেশ ত্রয়ীর মিলিত উইকেট সংখ্যা মাত্র একটা। তাও সেই একটি উইকেট আকাশদীপ তুলেছেন একেবারে ঝাড়খন্ড ইনিংসের শেষে এসে। বরং ভয়ের সিলেবাসের বাইরে থাকা দুই বোলারই শেষ করে দিলেন ঝাড়খন্ডকে।
কুমার দেওব্রত থেকে মহম্মদ নাজিম, উৎকর্ষ সিং থেকে অনুকূল রায়- সবাইকে একের পর এক সাজঘরে ফেরৎ পাঠালেন সায়নশেখর মন্ডল এবং অভিজ্ঞ সৌরভ তিওয়ারি, যুবা ব্যাটার কুমার কুশাগ্র, শাহবাজ নাদিম এবং রাহুল শুক্লাকে ফেরালেন শাহবাজ আহমেদ। উল্লেখ্য যেখানে বাংলার ৯ জন ব্যাটার পেরিয়েছেন ৫০ রান এবং করেছেন বিশ্বরেকর্ড, সেইখানে ঝাড়খণ্ডের বিরাট সিংয়ের অসাধারণ ১১৩ এবং মহম্মদ নাজিমের ৫৩ বাদে কেউই বলার মতো রান করেননি। ফলত আকাশদীপ শেষ উইকেট তোলার পরে বাংলার লিড গিয়ে দাঁড়ায় ৪৭৫ রান!
এই জায়গায় বাংলা ঝাড়খণ্ডকে ফলো-অন করাক এমনটাই চেয়েছিলেন একাংশ ক্রীড়াপ্রেমী এবং হয়তো এটাই হতো স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যাট হাতে আবার নামতে দেখা যায় অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং অভিষেক রমনকে। সম্ভবত অরুন লাল ও সৌরাশিস লাহিড়ী ম্যানেজমেন্ট চেয়েছিলেন বোলারদের রেস্ট দিতে অথবা তাঁরা চেয়েছিলেন চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের ভঙ্গুর উইকেটে একটু ব্যাটিং প্র্যাক্টিস করে নিতে যাতে পরের নক-আউট খেলার আগে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকে বাংলা। যদি দ্বিতীয় ব্যাপারটাই মূল উদ্দেশ্য হয় তবে শাহবাজ নাদিমের সামনে অভিমন্যু ঈশ্বরণ (১৩), সুদীপ ঘরামি (৫) এবং অভিষেক রমনের (৩৩) দ্রুত ফিরে আসা কিন্তু কিছুটা চিন্তায় রাখবে লালজিকে। যদিও অনুষ্টুপ মজুমদার এবং মনোজ তিওয়ারি নিজেদের মতো করে ভালোই সামলেছেন তাও পঞ্চম দিনে তাঁরা এবং অভিষেক পোড়েল, সায়ন মন্ডল, শাহবাজ আহমেদ কেমন খেলেন তার ওপর নজর থাকবেই।