রায়ান বার্ল ও লুকের ব্যাটিং তাণ্ডবে বাংলাদেশের সিরিজ জয় অধরা থেকে গেল!


সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্রটা ছিল এলোমেলো, সঙ্গে দিশেহারা বোলিং। এই এলোমেলো বোলিং, ব্যাটিং আর ফিল্ডিং ভুগিয়েছে নুরুলের দলকে। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ পিছিয়ে গিয়েছিল ১-০ ব্যবধানে। অবশ্যই সঙ্গে ছিল সিকান্দার রাজার অসাধারন ব্যাটিং।

বাংলাদেশ জিম্বাবোয়েকে চেনে হাতের তালুর মত। ১৬ বার সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জিতেছে ১১ বার। তাই প্রশ্নটা ছিল হারারেতে একই মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ?

একই মাঠ, প্রায় একই ধরনের উইকেট। টস–ভাগ্যও একই। দ্বিতীয় ম্যাচেই ১৮০ ডিগ্রী বদলে গেল ফলটা। মোসাদ্দেক হোসেনের ৫ উইকেট, লিটন দাসের অর্ধশতকে জিম্বাবোয়েকে বিপক্ষে ৭ উইকেটের অনায়াস জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সিকান্দার রাজার টানা দ্বিতীয় অর্ধশতকে ভর করে জিম্বাবোয়ে ১৩৫ রান পর্যন্ত গেলেও বাংলাদেশ সেটি টপকে গেছে ১৫ বল বাকি থাকতে ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন বিভাগেই আগের দিনের তুলনায় পুরো অন্য চেহারায় দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশকে।

মঙ্গলবারের অঘোষিত ফাইনালে বাংলাদেশ কিন্তু আবারও পারলো না জিম্বাবুয়েকে হারাতে। একসময় ১৪ ওভার খেলা শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৭৬ রান। বাংলাদেশ কিছুটা আশা জাগিয়েছিল। এরপর রায়ান বার্ল ও লুক জঙ্গুয়ের ব্যাটিং তাণ্ডবে পরের ৬ ওভারে ৮০ রান স্কোর বোর্ডে যোগ করে জিম্বাবুয়ে।
১৫৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে জিম্বাবোয়ে।

বলা যেতে পারে নাসুমের ওপর দিয়ে মহাপ্রলয় বইয়ে দিয়েছেন বার্ল আজ হারাতে। আর এখানেই বোধ হয় জিম্বাবোয়ে সিরিজ জয়ের গন্ধ পেয়েছিল।


আজকের দিনটি নিশ্চয়ই দ্রুত ভুলে যেতে চাইবেন নাসুম। জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারিত টি-টোয়েন্টিতে যে আজ এক ওভারেই ৩৪ রান দিয়েছেন তিনি! আর এটাই গড়ে দেয় পার্থক্য। ৮ উইকেটে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশকে হারতে হল দশ রানে, হাতছাড়া হলো সিরিজও।
আর সেই সঙ্গে টোয়েন্টিতে প্রথমবার বাংলাদেশকে হারাল জিম্বাবোয়ে।