প্রশ্ন ১ : ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা কার ছিল?
উত্তর : মহম্মদ আজহারউদ্দিন। টিম মিটিংয়ে ঠিক হয়ে থাকা সিদ্ধান্ত, অধিনায়ক হিসেবে প্রয়োগ করেন।
সেদিন ইডেনে ভারত হেরে গিয়েছিল বলেই প্রশ্নটা আজও উঠছে। আর বল যে এতটা টার্ন করবে এটা ম্যাচের আগে পিচ দেখে বুঝতে পারা যায়নি।
প্রশ্ন ২: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার দেখা সেরা অলরাউন্ডার কে এবং কেন?
উত্তর : কপিলদেব। ভারতীয় বলেই এমন কথা বলছি, এটা ভাবা ঠিক নয়। এমনিতে গ্যারফিল্ড সোবার্সের চেয়ে বড় অলরাউন্ডার এই দুনিয়ায় আসেনি, হয়তো আর আসবেও না।
গত ৪০ বছরে যে সমস্ত অলরাউন্ডারদের দেখেছি, তাদের মধ্যে ওয়াসিম আক্রম, ক্রিস কেয়ার্নস, বেন স্টোকসরাও থাকবেন, যেমন থাকবেন ইয়ান বথাম, রিচার্ড হেডলি, ইমরান খানরা। এরা প্রত্যেকেই যেকোন একটি বিভাগের দাপটের জোরে দলে আসতে পারেন। তবে ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগে ধারাবাহিকতা, ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা, আক্রমণাত্মক ভঙ্গির কথা মাথায় রেখে কপিলদেব এর বাক্সেই ভোট দিতে চাইব। ফাস্ট বোলিংয়ের বধ্যভূমিতে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও টেস্ট ক্রিকেটে ৪৩৪উইকেট পাওয়া কতটা কঠিন, সেটা উপলদ্ধি করতে পারা আরও কঠিন। নেটিজনেরা যেহেতু আমার চেয়ে বেশি বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে পারেন, তাদের ভোট অন্য কোন খেলোয়াড়ের পাশে পড়তেই পারে, আমি শুধু আমার মত জানালাম।
প্রশ্ন ৩: আপনার দেখা সুনীল গাভাসকারের সেরা শতরান কোনটা এবং কেন?
উত্তর : সেরা শতরানের থেকে বলা উচিত সেরা ইনিংস। আর সেটা অবশ্যই তাঁর জীবনের শেষ টেস্টে বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করা ৯৬।
ফাটল ধরা উইকেট, বল লাফাচ্ছিল, ঘুরছিল বনবন করে। ব্যাটিং করার সময় উইকেটের অবস্থা অনেকটা চৈত্রের দুপুরে শুকনো ঘাস জমির মতো ছিল। উপরের দিক থেকে দেখলে মাটির নিচের অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। অনবদ্য ফুটওয়ার্ক এবং প্রখর দৃষ্টিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে লড়াই করে যাচ্ছিলেন। ইমরান খান ঘিরে দিয়েছিলেন ফিল্ডার দিয়ে চারপাশ, তবু লাবণ্যময় সফট হ্যান্ড প্রয়োগ করে বল মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছিলেন। একটা শতরানের থেকে অনেক বড়।