বোলিং ব্যর্থতায় হেরে শেষ সাকিব বাহিনীর এশিয়া কাপ

আফগানিস্তান ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার পুরোনো চেহারা সরিয়ে নতুন রুপে হাজির হয়েছিল বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন-মেহেদি হাসান মিরাজদের ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৩। লঙ্কানদের জন্য বাঁধা হতে পারেনি এই সংগ্রহ। দুই উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় এই রান। ফলে সুপার ফোর নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে বাংলাদেশের দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তবে চার বার জীবন পাওয়া কুশল মেন্ডিস অবশ্য থামাননি তার ব্যাটিং ঝড়। তার ব্যাটে আসে ৬০ রান। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

এর আগে অভিষিক্ত ইবাদত হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে স্কোরবোর্ডে ৭৭ রানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তিনটাই শিকার করেন ইবাদত। ভানুকা রাজাপাকসেকে ফিরিয়ে উইকেট শিকারে যোগ দেন তাসকিন আহমেদও।

তবুও জয়ের পথে একটুও বাঁধা তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার ৩৩ বলে ৪৫ রান ‘স্বাগতিক’-দের জয় অনেকটা সহজ করে দেয়। বোলিং অলরাউন্ডার চামিকা করুনারত্নের ১০ বলে ১৬ রানও এগিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কাকে।

মূলত শানাকা ও কুশল মেন্ডিসের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে যায় বাংলাদেশ। তাসকিন ছাড়া বাকি বোলারদের কেউই নিজেদের সেরাটা দিতে না পারায় একের পর এক রান আদায় করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুবাইয়ের মাঠে ১৮০ রানের বেশি করে হারের কোনো রেকর্ড ছিল না। এবার সেই রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশের হয়ে ৫১ রানে তিন উইকেট শিকার করেন ইবাদত হোসেন। অভিষেক ম্যাচের শুরুতেই লঙ্কানদের ধসিয়ে দেওয়ার পথে ছিলেন। শেষ ওভারে ইবাদত ধরে রাখতে পারেননি তার সেই খেই। ইবাদতের তিন উইকেটের পাশাপাশি তাসকিনের শিকার ২ উইকেট। এছাড়াও একটি করে উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ মাহেদি।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামেন মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার সাব্বির রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। তাদের দু’জনের কল্যাণে ১৩ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে দুই অঙ্কের রান ছুঁয়েছে বাংলাদেশ।

সাব্বির সফল হতে না পারলেও মিরাজ সুযোগ পেয়ে খেলেছেন দারুণ এক ইনিংস। ২৬ বলে ৩৮ করে ফেরেন তিনি। মিরাজের পর দলের রান বাড়িয়ে তোলার মূল কাজটা করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ২২ বলে করেন ৩৯ রান। এছাড়াও সমান সংখ্যক বলে ২৭ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। এতেই বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮৩ রান।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও চামিকা করুণারত্নে দুইটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও দিলশানা মাদুশঙ্কা, মহেশ থিকসানা ও আসিথা ফার্নান্দো একটি করে উইকেট নেন।