আপাতত প্রত্যেকদিন দুপুর বারোটা থেকে শুরু করে আর বিকেল গড়ানো পর্যন্ত চলছে মোহনবাগান প্র্যাক্টিস এবং বিকেল গড়িয়ে অন্ধকার নেমে আসার পরে ক্লাবের হেলোজেন আলো যখন জ্বলে ওঠে তখন মাঠ থেকে বেরোন তিনি।
ময়দানের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অর্ণব নন্দী। মোহনবাগান মাঠে পড়ন্ত বিকেলে মোহনবাগান ক্লাবের এই বছরের দল নিয়ে দিলেন বিস্তারিত ইন্টারভিউ।
প্রশ্ন:- আগের বছর ট্রফি না আসার পরে মোহনবাগান দলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কিরকম ভাবে দেখছো এই পরিবর্তন?
অর্ণব:- পরিবর্তনটা বললে গতবার অনেক বড়ো নাম ছিল। তাদের অ্যাভালেবিলিটি ছিলনা, চোট ছিল এবং প্ল্যানিং এর গন্ডগোলও ছিল। এইবছর অনেক জুনিয়র এসেছে যারা উঠতি ভালো ক্রিকেটার এবং সর্বোপরি কোচিং ইউনিট বদলেছে। যে কোচ এসেছেন তার আসল জিনিস হলো উনি আগে ইস্টবেঙ্গলকে প্রচুর ট্রফি দিয়েছেন এবং বেঙ্গল অনুর্ধ-১৯ কেও ট্রফি দিয়েছেন। আশা করছি এই বছর ট্রফি আসবে।
প্রশ্ন:- এইবছর অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অনুষ্ঠুপ মজুমদার, অভিষেক পোড়েল- এদের সম্পূর্ণ রনজি ট্রফির সময় পাওয়া যাবেনা।
অর্ণব:- গতবার অনেককেই পাওয়া যায়নি কিন্তু ব্যাকআপ প্লেয়ার ছিলনা। এইবছর ব্যাকআপ প্লেয়ার নেওয়া আছে। এটা জানাই আছে যে অনেকে রনজি, ইন্ডিয়া এ খেলতে যাবে, তাই আমরা ব্যাকআপ প্লেয়ার নিয়েছি যাতে তারা শীতকাল সেইভাবে খেলতে পারে।
প্রশ্ন:- মোহনবাগানের ব্যাটিং ইউনিট অনেক বাঁহাতি পরিপূর্ণ। রোহন ব্যানার্জী, কাজী সৈফি, অভিষেক পোড়েল, আয়ুষ সিং, রাজকুমার পাল, তুহিন ব্যানার্জী, অয়ন ভট্টাচার্য- সবাই বাঁহাতি। এটা কি বাড়তি সুবিধা দেবে টিটোয়েন্টিতে?
অর্ণব:- টিটোয়েন্টি কেন? যে কোনো ফরম্যাটেই বাঁহাতিরা সুবিধা দেবে।
প্রশ্ন:- বোলিং কেমন এই বছর?
অর্ণব:- স্পিনে আমি, রাজকুমার, তুহিন আছে। এছাড়াও পেস বোলিংয়ে অনেক নতুন ছেলে আছে এবং বাঁহাতি-ডানহাতি সামঞ্জস্য আছে। বাঁহাতি পেসার প্রকাশ রায়কে আমরা এনেছি এবং ও পরে ভালো বোলার হবে। আমরা এই বছর এমন খেলোয়াড় এনেছি যাদের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জেদ থাকবে।
প্রশ্ন:- এই দলকে সাদা বা লাল বলের কোনটার জন্য বেশী ভালো বলবে?
অর্ণব:- কলকাতা মাঠে যেরকম খেলা হয় তাতে আমি মনে করি যে আমাদের দল অনেকের থেকেই এগিয়ে। ঠিকঠাক প্ল্যান থাকলে আমার মনে হয়না বলের রং কোনো ব্যাপার হবে। কালকের ম্যাচে ইন্ডিয়া কিন্তু এগিয়ে ছিল কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জিতল। যেটা বড়ো ব্যাপার তা হলো ম্যাচের দিন কে কেমন করছে?
প্রশ্ন:- প্রণব নন্দীর সঙ্গে তুমি অনেক বছর কাজ করেছ।
অর্ণব:- ৮ বছর তো বটেই।
প্রশ্ন:- তার সঙ্গে তুমি আবার ফিরতে পারছো। কেমন লাগছে?
অর্ণব:- খুবই ভালো লাগছে যে মোহনবাগান ক্লাবে সেই সুযোগ হলো। আমি খুবই আশাবাদী যে উনি একটা টিমের থেকে যেভাবে পারফরমেন্স আদায় করে নিতে পারেন তা উনি এখানেও করবেন এবং দল ভালো করবে।
প্রশ্ন:- মোহনবাগান ক্লাব কিভাবে প্র্যাক্টিস করছে?
অর্ণব:- আমরা মূলত টেকনিকে জোর দিচ্ছি। এছাড়াও স্যার(প্রণব নন্দী) বোলারদের অ্যাকিউরেসি নিয়ে কাজ করছেন এবং সূক্ষ ব্যাপারগুলোয় নজর রাখছেন। টিম প্ল্যানিং তো ম্যাচের সময় হবে।