ভারত ও ইংল্যান্ড কি চলতি বিশ্বকাপে বাড়তি সুবিধা পেতে চলেছে?

চলতি বিশ্বকাপের গ্ৰুপ পর্যায়ের খেলা প্রায় শেষের পথে। বৃষ্টি এবং তথাকথিত ছোট দলগুলির উজ্জীবিত পারফরম্যান্সের দৌলতে জমে উঠেছে গ্ৰুপ পর্যায়ের লড়াই। যখন প্রায় সাপ লুডোর লড়াই চলছে দুটো গ্ৰুপেই, তখনই উঠে আসছে এই অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন। ফুটবলের যেকোন বড় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় যদি সম্ভব হয়, ক্রিকেটের টি২০র মতো স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফরম্যাটে সম্ভব নয় কেন?

সূচি অনুযায়ী প্ৰথম গ্ৰুপের শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা এবং অন্য গ্ৰুপের ক্ষেত্রে ভারত বনাম জিম্বাবোয়ে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, যদি বৃষ্টির জন্য কোন খেলা ভণ্ডুল না হয়, প্ৰথম গ্ৰুপের তিন প্রধান দলই গ্ৰুপ শেষে সাত পয়েন্টে পৌঁছতে পারে। সেখান থেকে কোন দুটি দল সেমিফাইনালে যাবে সেটা নির্ভর করবে নেটরানরেটের উপর। আর ঠিক এখানেই বাড়তি সুবিধা পাবে ইংল্যান্ড যেহেতু তারা খেলতে নামার আগে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে।

একই রকমভাবে যদি কোনরকমভাবে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হয় বা মহান অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে এখানেও লড়াইটা রানরেটের উপর দাঁড়িয়ে যাবে। আর জিম্বাবোয়ে যত উজ্জীবিত ক্রিকেটই খেলুক না কেন, তখন ভারত বনাম জিম্বাবোয়ে ম্যাচটা হয়ে যাবে প্রকৃত অর্থে ভারতের নেটরানরেট বাড়িয়ে সেমিফাইনালে ওঠার খেলা। 

অথচ ফুটবলের মতো গ্ৰুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচগুলো একই দিনে একই সময়ে শুরুর পরিকল্পনা থাকলে অনায়াসে এই বিতর্ক এড়ানো যেত। ক্রিকেটে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ব্যাটসম্যানকে ব্যাটার বলা হচ্ছে, কিন্তু অন্য জায়গায় লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষতে গিয়ে কোন দলকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত বৈষম্য বজায় থাকছে।