টিটোয়েন্টি অভিজ্ঞতা সর্বোচ্চ স্তরে বলতে একটি। ২০২১ সালের মুস্তাক আলী ট্রফিতে একটি ম্যাচেই সুযোগ পান ব্যাটিং এর। অবশ্য যে ব্যাটিং অর্ডারে শিখর ধাওয়ান, নীতিশ রানা, হিম্মত সিং, ললিত যাদবরা থাকেন সেই দলে তাঁদের টপকে ব্যাট করার সুযোগ আসা তো এতো সহজ নয়। এরই মধ্যে একবার সুযোগ আসে শিখর ধাওয়ান বিশ্রাম নেওয়ায়। কিন্তু পন্ডিচেরির বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে মাত্র ৮ রানে আউট হয়ে যান আয়ুষ। সেটিই এযাবৎ রাজ্য দলের হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ।
আজ ইনিংসের বিরতিতে সেই ২২ বছরের ছেলেটা বলছিলো যে আগেরদিন রাতে সে ঘুমায়নি। স্বাভাবিকভাবেই মহম্মদ শামি-রাশিদ খানের মতো বোলারের বিরুদ্ধে অভিষেক হলে স্নায়বিক চাপ তো থাকবেই। অবশ্য দলের অবস্থাও ছিলো শোচনীয়। লোকেশ রাহুল-কুইন্টান ডিকক-এভিন লুইস-মনীশ পাণ্ডে ফিরেছেন ধরাশায়ী হয়ে। ২৯-৪ অবস্থায় নবাগত একজনের ব্যাট করতে যাওয়ার পরে তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করাও বেশ কঠিন ব্যাপার। প্রথম ২২টি বল তাকে দেখে স্বচ্ছন্দ লাগছিলোনা একদমই। ওই সময়ে মোট সংগ্রহ ছিলো ১৩ রান।
হার্দিক পাণ্ড্যর অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল যখন সামান্য বসে কাউ কর্নার দিয়ে ছক্কায় পাঠালেন এবং তারপরের বলই স্কুপ করে পেছনের বাউন্ডারিতে ফেললেন তখনই পরের চিত্রনাট্য হয়ে উঠছিলো পরিষ্কার। এরপরের বাউন্ডারি এলো রশিদ খানকে স্লগ সুইপে।
আজ দিল্লীজাত আয়ুষ বাদোনি পেলেন টিটোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। এর থেকেও বড়ো প্রশংসা প্রাপ্য মনে হয় দিল্লীজাত থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক অর্থাৎ গৌতম গম্ভীর এবং বিজয় দাহিয়ার। মাত্র একটি টিটোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট করা, তাও ব্যর্থ হওয়া, একজনকে দলে নিয়ে অভিজ্ঞ ক্রুনাল পাণ্ড্যর আগে ব্যাট করতে পাঠানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে কজন পারেন? এখানেই তো অন্য রাজ্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় দিল্লি, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যরা।
অভিনন্দন আয়ুষ বাদোনিকে