বৃষ্টি যখন বিশ্বকাপে ভারতের পথের কাঁটা

ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে বৃষ্টি প্ৰথম দায়িত্ববান দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকা পালন করে ১৯৯২ সালে, অস্ট্রেলিয়ায়। যদিও আজ তিরিশ বছর পরেও তার সবচেয়ে বড় ভুক্তভুগী হিসেবে ধরা হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিন্তু বৃষ্টি ওই বিশ্বকাপে আজহারের স্বপ্নকেও কিছু অংশে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সলিল সমাধি হয়েছিল ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের পর তৃতীয় দল হিসেবে পরপর চারবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্নের (যেহেতু পরের বিশ্বকাপেও সেমিফাইনাল খেলেছে)।

১লা মার্চ, ‘৯২ বিশ্বকাপের সেই কালো দিন। একই দিনে আ্যডিলেডে মুখোমুখি এই বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান এবং ব্রিসবেনে মুখোমুখি ভারত অস্ট্রেলিয়া। তার দুদিন আগেই ভারত বৃষ্টির কারনে বাধ্য হয়েছে প্রতিযোগিতার অন্যতম দুর্বল দল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করতে এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় রানরেট বাড়িয়ে রাখতে। এরপর আ্যডিলেডে বথাম বাহিনী পাকিস্তানকে মাত্র ৭০, হ্যাঁ অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে মাত্র ৭০রানে অলআউট করে দেওয়ার পর নিজেরা যখন মাত্র ১২ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ২৮ রান করে ফেলেছে তখনই নামলো বৃষ্টি আর পাকিস্তান পেয়ে গেল অতি মূল্যবান এক পয়েন্ট। যে এক পয়েন্ট না থাকলে সেমিফাইনালে উঠতে পারতো না তারা, ৮ পয়েন্টে আটকে যেতে হতো অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো।

অন্যদিকে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২৩৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ভারত খেলতে নামার পর ১৭ ওভারের মাথায় বৃষ্টি এবং তারপরে পরিবর্তীত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ২৩৬। ভারতের ইনিংস থেমে যায় ২৩৪ রানে, এক রানে হৃদয়বিদারক হার। বৃষ্টি সংক্রান্ত অদ্ভুত নিয়মের যাঁতাকলে না পড়লে বা পুরো খেলা হলে ভারতের জেতার সম্ভাবনাই যে বেশি ছিল সেটা ম্যাচের ফলাফলেই প্রমাণিত। ফলে এই ম্যাচের দুই পয়েন্ট এবং শ্রীলঙ্কা ম্যাচের এক পয়েন্ট নিয়ে ভারতও পৌঁছে যেত ৮ পয়েন্টে এবং পয়েন্ট টেবিলের সাপলুডো বলছে সেক্ষেত্রে গ্ৰুপের চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনাল খেলতো ভারত, পাকিস্তান নয়।