তিন বছর পর আই পি এল এ তিন অঙ্কের ইনিংস খেলে মোট সেঞ্চুরির নিরিখে কিংবদন্তি ক্রিস গেইলকে ছুঁয়ে ফেলা কিং কোহলিকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ভারতীয় ক্রিকেট মহল। গতকাল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এর বিরুদ্ধে ১২ টি চার ও চারটি ছক্কায় সাজানো কোহলির অনবদ্য ইনিংস আর সি বি কে প্লে অফে যাওয়ার রাস্তায় অক্সিজেন যুগিয়েছে।গোটা ইনিংস জুড়ে যেভাবে হায়দ্রাবাদ বোলারদের তিনি শাসন করেছেন তাতে কোহলি সুলভ রাজকীয় ঔদ্ধত্য তথা আগ্রাসনের ছবি স্পষ্ট। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী হিসেবে আপ্লুত কোহলির ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া অবশ্য তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সংযত। ইনিংসের শুরু থেকেই নেট রানরেট ভাল রাখার তাগিদে আক্রমণাত্বক খেলার বাধ্যবাধকতা স্বীকার করে নিয়েও কোহলি কিন্তু জানাচ্ছেন তিনি ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ বহির্ভূত শট সচেতনভাবেই এড়িয়ে গিয়েছেন।এমন আচরণের কারণ হিসেবে কোহলি যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তাতে চমৎকৃত ক্রিকেট অনুরাগীমহল।
আসন্ন টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা মাথায় রেখে অক্রিকেটীয় শট খেলে নিজের টেকনিক নষ্ট করতে না চাওয়া কোহলি যে আপাতত ওভালের ম্যাচকেই পাখির চোখ করতে চাইছেন সেই বার্তা স্পষ্ট।দু বছর আগের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রনা ভুলে যেতে যে তিনি মরিয়া এমন মনোভাব সহজবোধ্য। বিলেতের গ্রীষ্ম সুইং বোলিং এর জন্য যে আদর্শ পটভূমি এটা বিরাট খুব ভালো করেই জানেন এবং ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ এর মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কামিন্সদের মোকাবিলার ক্ষেত্রে তিনিই যে দলের সেরা বাজি এহেন মতবাদে অতিকথন নেই।কাজেই সপ্তাহ তিনেক দূরের মহারণের প্রতি এখন থেকেই নিবিড় মনোসংযোগের দায় থেকে চলতি আই পি এল কেই প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে ব্যাবহার করতে চাওয়ার তাগিদ সহজবোধ্য।কিং কোহলির বাইশ গজে ব্যাট হাতে কৃচ্ছসাধন হয়ত সেই সাধনারই অঙ্গ।