নাটকীয় জয় পেল ইংল্যান্ড


রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড বেশিরভাগ সময় আধিপত্য বিস্তার করেছিল ঠিকই। তবে পঞ্চম দিনে এসে ম্যাচের ফল তিন রকম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিল। নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আলি মাটি কামড়ে উইকেটে দীর্ঘক্ষণ পড়েছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হলো না পাকিস্তানের। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ৭৪ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।

২ উইকেটে ৮০ রানে আজ শেষ দিন খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। খুব দ্রুতই ইমাম-উল-হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৪৮ রান করা ইমামকে ফিরিয়ে ৬৪ রানের তৃতীয় উইকেটের জুটি ভেঙে দেন জেমস অ্যান্ডারসন। পাকিস্তানের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৮৯ রান। এরপর চতুর্থ উইকেটে সৌদ শাকিল-মোহাম্মদ রিজওয়ান গড়েছিলেন ৮৭ রানের জুটি। অভিষেক টেস্টে ফিফটির দেখা পেলেন শাকিল। রিজওয়ানকে ফিরিয়ে এই জুটিও ভাঙেন অ্যান্ডারসন। ১৭৬ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে গেলে উইকেটে আসেন আজহার আলি। শাকিলের সঙ্গে আজহারের জুটিটা ছিল অবশ্য ২২ রানের। ৫৬ রান করা শাকিলকে ফেরান ওলি রবিনসন।
শাকিল ফিরলে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৯৮ রান। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে আঘা সালমানের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েছেন। ৩০ রান করা সালমান এবং ৪০ রান করা আজহার-এই দুটো উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে দেন রবিনসন। এরপর ৮৮ তম ওভারে অ্যান্ডারসন দুটো উইকেট নিলে স্বাগতিকদের পরাজয় হয়ে যায় সময়ের ব্যাপার মাত্র। নয় উইকেট পড়ার পর নাসিম শাহ-মোহাম্মদ আলি প্রতিরোধ গড়া শুরু করেন। অসম্ভব এক ড্র এই দুই টেলএন্ডার ব্যাটার করেই ফেলেছিলেন। তবে নাসিমকে এলবিডব্লু করে ৫৩ বলে ৪ রানের এই ‘মহাপ্রাচীর’ ভাঙেন জ্যাক লিচ। ২৬৮ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।

ম্যাচসেরা হয়েছেন রবিনসন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন ইংলিশ এই পেসার।