“লম্বা ম্যাচে ফিটনেস ধরে রাখা একটা খুব বড়ো জিনিস।”- শুভম সরকার


বেশ কিছু বছর আনন্দবাজার খেলার পরে আজ মোহনবাগান দলের অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। মূল বোলার হিসেবে পাশাপাশি আজ তাকে খেলতে হচ্ছে পাঁচ বা ছয় নম্বরের উপযোগী একজন ব্যাটার হিসেবেও। প্রথম দুটো ম্যাচে চল্লিশের ঘরে রান করার পর আজ দেশবন্ধু পার্কে পেলেন মরশুমে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে ভাঙলেন গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশীপও। কি ছিল তার আইডিয়া? সরাসরি শুভম সরকারের সঙ্গে-
প্রশ্ন:- আজ সকালে ব্যাট করার কি প্ল্যান ছিল?
শুভম:- প্ল্যানটা ছিল যেন উইকেট না যায়। স্ট্যাম্পের বল খেলা এবং বাইরের বল না তাড়া করা। সেটাই চেষ্টা করে খেললাম।


প্রশ্ন:- বোলিংয়ে অনেকটা লোড নিতে হয়, সেই সঙ্গে এই ওপরে ব্যাটিং- কতটা চ্যালেঞ্জ?
শুভম:- চ্যালেঞ্জ ঠিক নয়। এর আগে যখন আনন্দবাজার খেলতাম, ওপেন থেকে আট-সব জায়গায় খেলেছি। এখানেও টুলটুল স্যার(প্রণব নন্দী) সেইভাবেই আমাকে ব্যবহার করছে। বল করার পাশাপাশি যখন তুমি ব্যাট করো, তখন একটা আলাদা দায়িত্ব চলে আসে। সেটা যখন মোহনবাগান ক্লাবে পাই, সেটা আলাদা ভালো লাগে। টিম যখন চায়, সেরকম খেলতেই আমি পছন্দ করি। আমার কোনো অসুবিধা হয়না, আমি হয়তো লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার, কিন্তু টিমের প্রয়োজনে ওপরে খেলতে পারি।
প্রশ্ন:- তোমার বল আজ দুপুরে নড়ছিল। অভিলীন ঘোষকে আউট করার জন্য ইনসুইং আইডিয়া ছিল?
শুভম:- হ্যাঁ ওই বলটা ভেতরে এসেছিল। এর আগেও লেগ বিফোর হয়েছে, কিন্তু আপিল সত্ত্বেও আউট দেয়নি। গোটা ম্যাচে একটাই লেগ বিফোর হয়েছে, কিন্তু আম্পায়ার অনেক এল.বি.ডাবলু দেয়নি।
প্রশ্ন:- ১৫০ বল ব্যাট করে এতো ওভার বল করার ওয়ার্কলোড ম্যানেজ কিভাবে করো?
শুভম:- এর জন্য অফসিজন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়। সেটা আমি চেষ্টা করেছি ভালোভাবে কাজে লাগানো। আমি বেঙ্গল ক্যাম্পে ছিলাম, ওখানে হারুদা(সঞ্জীব দাস) যা দেখিয়েছে, তা করেছি। একদিন করে জিম সেশন করেছি ম্যাচের মাঝেও। ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করি এবং খাওয়াদাওয়া-ঠিকঠাক রেস্টে থাকাও জরুরি।
আমার গুরু শিবশঙ্কর পাল বলেন যে অলরাউন্ডার হলে ফিটনেস এমন হওয়া উচিত যে ১০০ করার পরেও লম্বা স্পেলে বল করতে হবে, আবার অনেকক্ষণ বল করার পরে টিমের প্রয়োজনে ওপরে ব্যাট করতে হবে।
প্রশ্ন:- নিজের ফুড হ্যাবিট নিয়ে কি বলবে?
শুভম:- আমি গ্রামের ছেলে এবং শুনলে হয়তো বিশ্বাস হবে না যে আমি পারলে তিন বেলাই ভাত খাই। ফাস্ট ফুড ছেড়ে আমি কার্বোহাইড্রোটেস, ডিম, ফল বেশি খাই। আমি মনে করি ভাত আমাকে সবচেয়ে বেশি এনার্জি দেয়। আমি যখন রণস্যারের(রণদীপ মৈত্র) কাছে জিম করতাম, তখন উনিও বলতেন অন্য সব খাবারের থেকে ভাত বেশি এনার্জি দেয়। কার্বোহাইড্রোট ও সঠিক প্রোটিন খেলার দক্ষতা বাড়ায়। হ্যাঁ তার সাথে ট্রেনিংও খুব দরকারি।