তিন ম্যাচের সিরিজে আগেই দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল ভারত। তৃতীয় ম্যাচটি ছিল নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এমন একটি ম্যাচই তো দলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সুযোগ। ভারত অধিনায়ক করলেনও তাই। এই ম্যাচে বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলকে একাদশে রাখেননি। বোলিংয়ে দেখে নিতে চেয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজকে। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে বিশ্বকাপের দলে দীপক চাহার ও মোহাম্মদ শামি থাকলেও আলোচনায় আছে, বিশ্বকাপে চোট নিয়ে ছিটকে পড়া যশপ্রীত বুমরার বিকল্প হতে পারেন সিরাজও।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শামি এই সিরিজে নেই। সিরাজের সঙ্গে বোলিং আক্রমণে ছিলেন চাহার। দিনটি কারওই ভালো যায়নি। সিরাজ ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়েছেন, চাহার দিয়েছেন ৪৮ রান। চাহার অবশ্য ১টি উইকেট পেয়েছেন, সিরাজ ছিলেন উইকেটশূন্য।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ২২৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের বিপক্ষে কোনো দলের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। রান তাড়ায় ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচটি ৪৯ রানে হেরেছে ভারত। তুলনামূলক ছোট বাউন্ডারির হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা রানের পাহাড়ে উঠেছে মূলত রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি ককের দুটি অসাধারণ ইনিংসে। শেষ ম্যাচে রুশো ৪৮ বলে ঠিক ১০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ৯০ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাঁর সঙ্গী কুইন্টন ডি কক ৪৩ বলে করেছেন ৬৮ রান।
রান তাড়া করতে নেমে ভারত সুবিধা করতে পারেনি। এক সময় ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারত এরপরও ১৮.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৭৮ রান করতে পেরেছে মূলত দিনেশ কার্তিকের ২১ বলে ৪৬, চাহারের ১৭ বলে ৩১ ও যাদবের ১৭ বলে অপরাজিত ২০ রানের সৌজন্যে।