“ট্রফি জেতাই আসল লক্ষ্য”- সরাসরি আকাশ ঘটক


মহানবমীর সকাল। তারই মধ্যে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে চলছে বাংলা দলের সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফির প্র্যাক্টিস। এসেছেন কোচ লক্ষীরতন শুক্লা, ফিটনেস ট্রেনার সঞ্জীব দাস। সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক দাস, অভিষেক পোড়েল, ঋত্বিক চ্যাটার্জী,গীত পুরি প্রমুখ বহু ক্রিকেটার। এরই মধ্যে রয়েছেন তিনি। পুজোর প্রায় শেষ লগ্নে সুদূর বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়ি থেকে এসেছেন বাংলার প্র্যাক্টিসে।
তিনি আকাশ ঘটক। বাংলা সিনিয়র দলে নতুন নির্বাচিত হওয়া পেস বোলিং অলরাউন্ডার। অবশ্য তিনি বলেন ব্যাটিং এবং বোলিং দুটিই তিনি করতে পারেন সমান তালে। প্রায় তেরো বছর কাটিয়েছেন ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেটে। ওয়াড়ি ক্লাব, বেলগাছিয়া ইউনাইটেড ক্লাব, জর্জ টেলিগ্রাফ,টাউন ক্লাব, বরিশা ক্লাব ভালো পারফরমেন্স করে এবার তিনি এসেছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। আকাশ মনে করেন যে ক্লাব ক্রিকেট একজন খেলোয়াড়কে অত্যন্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন করে তুলতে সাহায্য করে।

কোনো কারণে বাংলার বয়সভিত্তিক দলে সেইভাবে সুযোগ না পেলেও গতবছর প্রথম সুযোগ পান বাংলা অনুর্ধ-২৫ দলে এবং সেইখানেই দুরন্ত পারফরমেন্স করে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। ফলস্বরূপ এবার তিনি বাংলা সিনিয়র দলে। অষ্টমীর রাতে হোয়াটস্যাপ করে জানিয়েছিলেন তার আসার কথা এবং পরদিন সকালে একবার বলাতেই হয়ে গেল ইন্টারভিউ।
প্রশ্ন:- মুস্তাক আলী ট্রফির জন্য সুযোগ পেলে। কেমন লাগছে?
আকাশ:- প্রথমবার আমি সিনিয়র বেঙ্গল খেলবো তাই আমি অবশ্যই খুব খুশি। আমাদের লক্ষ্য বেঙ্গলকে ট্রফি দেওয়া যেটা আমরা শেষ ২০১২ সালে লক্ষীদার ক্যাপ্টেন্সিতে আমরা পেয়েছিলাম। এছাড়া আমার নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্য হলো আইপিএল খেলা।
প্রশ্ন:- লাল বলের দলে আসা নিয়ে কতটা আশাবাদী?
আকাশ:- অবশ্যই। লাল বল, সাদা বল আমি একজন অলরাউন্ডার হিসেবে দুটোকেই নিজের পছন্দ বলেই মনে করি।
প্রশ্ন:- টিটোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য বোলিংয়ের ওপর কি কাজ করেছো?


আকাশ:- শেষবার যখন অনুর্ধ-২৫ খেলি, আমার পারফরমেন্স ভালো ছিল, আমি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলাম। ওখান থেকে অনেক শিখেছি। এখানে আমরা এতগুলো প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেললাম, সবেতেই মোটামুটি খেলেছি। এখান থেকে যা শিখেছি তা দিয়েই সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতেও ভালো করতে চাই।
প্রশ্ন:- ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে এইবছর কিরকম আশাবাদী পারফরমেন্স নিয়ে?
আকাশ:- ট্রফিটাই আসল লক্ষ্য। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে পারফরমেন্স ভালো করতেই হবে কারণ অনেক বড়ো ক্লাব। ট্রফিটাই আসল পাখির চোখ। আগেরবার ক্লাব তিনটের মধ্যে দুটো ট্রফি পেয়েছে, আমি আমার দিক থেকে চেষ্টা করবো ক্লাব যাতে ট্রফি পায়।
প্রশ্ন:- প্রথমবার বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেই একটা দুর্দান্ত পারফরমেন্স। কেমন লেগেছিল?
আকাশ:- খুব ভালো লেগেছিল তখন। আমি যখন প্রথম নির্বাচিত হই তখন খুব খুশি ছিলাম এবং তারপরে যখন পারফরমেন্স করলাম, ম্যাচ জেতালাম তখনও খুব ভালো লেগেছিল এবং এবার আমি চেষ্টা করবো যাতে বাংলাকে জেতাতে পারি।
প্রশ্ন:- একবছর আগে অনুর্ধ-২৫ দলে খেলাতে কতটা সাহায্য পেয়েছো নিজেকে তৈরী করতে?
আকাশ:- অনুর্ধ-২৫ কিন্তু প্রায় সিনিয়র লেভেল ক্রিকেট। পার্থক্য শুধু এটুকুই যে সেটা মানসিক। যত একজন খেলোয়াড় মানসিকভাবে শক্ত হবে সে ততো বেশি অ্যাচিভ করবে।