ডমিনিকার পড়ন্ত বিকেলের রোদের মধ্যে বলটা হারিয়ে ফেললেন হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। ওয়ালশ ওই ক্যাচটা নিতে পারলে অন্তত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ডটা হতো না সাকিব আল হাসানের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ‘ডাবল’-এর কীর্তিটাও হয়তো আরেকটু ভালোভাবে উদযাপন করতে পারতেন তিনি!
ওয়ালশের ওই ক্যাচ মিসের পর ওবেদ ম্যাকয়কে ডিপ-স্ক্যোয়্যার-লেগ দিয়ে মারা ছয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রান হয়ে গেছে সাকিবের। মাহমুদউল্লাহর পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এ কীর্তি হলো তাঁর। তবে ২ হাজার রানের সঙ্গে ১০০ উইকেটের ‘ডাবল’, এ কীর্তিতে বিশ্বের মধ্যে সাকিবই যে সবার আগে, সেটি অবশ্য বলা হয়েছে আগেই। ম্যাকয়কে যখন সাকিব ওই ছয় মারলেন, ওই ওভারের প্রথম বলেই একটা ডাবলস নিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ হয়েছে তাঁর। সে মাইলফলকে যেতে সাকিবের লেগেছে ৪৫ বল! এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নয় বার অর্ধশতক পেয়েছেন সাকিব, তবে কখনোই এত বল লাগেনি তাঁর। ক্যারিয়ারের মন্থর ফিফটি বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেও আড়াল করতে পারেনি।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সাকিব যে কীর্তি গড়েছেন, সেটি অবশ্য তাতে ম্লান হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের এই অনন্য ডাবলের সবচেয়ে কাছাকাছি ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ—২,৫১৪ রানের সঙ্গে ৬১টি উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘প্রফেসর’। এ বছরের শুরুতেই অবসর নিয়েছেন তিনি, ফলে সাকিবকে ছোঁয়ার প্রশ্নই উঠছে না।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রান ও ৫০ উইকেটের ‘ডাবল’ আছে সাকিব ও হাফিজ ছাড়া ৫ জনের – কেভিন ও’ব্রায়েন, শহীদ আফ্রিদি, ডোয়াইন ব্রাভো, মোহাম্মদ নবী ও থিসারা পেরেরা। এঁদের মধ্যে আফ্রিদি, ব্রাভো ও পেরেরাও অবসর নিয়েছেন, ও’ব্রায়েন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে। এখন খেলছেন শুধু নবী, এই আফগানের রান ১,৬২৮, উইকেট ৭৬টি।
এর আগে ১০০ উইকেট এবং ১ হাজার রানের ‘ডাবল’ গড়া ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটারও ছিলেন সাকিব।