রনজি ট্রফিতে মুম্বই যে খুব খারাপ খেলছে তা নয়, কিন্তু গাভাসকার ওয়াদেকারদের আমলে যে দাপট ছিল মুম্বইয়ের, তা এখন দেখা যাচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে। কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে তো আর থাকা যায় না। এই তাড়না থেকেই হয়তো স্বয়ং শচীন তেন্ডুলকার নেমে পড়েছেন ‘শচীন’-এর খোঁজে।
অসাধারণ পরিবেশ। প্রশিক্ষকের নাম শচীন তেন্ডুলকার। মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম। বৃহস্পতিবার ওই মাঠে প্রেস বক্সে যাওয়ার পথেই বাঁদিকে নজরে এল তেন্ডুলকার–মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমির। দেখে মনে হতেই পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই শুধু বুঝি কোচিং নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আদতে তা ঠিক নয়। মুম্বই ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ১৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্রিকেট শিখতে আসেন এই অ্যাকাডেমিতে। সপ্তাহে চার দিন। সকাল ও বিকেল। দু’বেলাই আড়াই ঘণ্টা করে। আর এক দিন চলে ফিজিক্যাল ট্রেনিং এবং মেন্টাল ডেভেলপমেন্ট সেশন।
কোচিংয়ের দায়িত্বে শচীন ছাড়াও আছেন অমিত পাগনিস। ১৯৯৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে হরভজন সিং, বীরেন্দ্র শেহবাগ, মহম্মদ কাইফ, রীতিন্দার সিং সোধি, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, শিবসাগর সিংদের দলের অধিনায়ক ছিলেন অমিত। মাঝে রেলওয়েজের হয়েও খেলেছেন। এখন পুরোপুরি শচীনের শিবিরের দায়িত্বে। ৯৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। সহজ ভাষায় শেখাতে পারার কারণে শচীন নিজে ওঁকে নিয়ে এসেছেন। এছাড়াও আছেন মিডলসেক্স ও উরস্টারশায়ার-এর প্রাক্তন ক্রিকেটার যশ ন্যাপেট।
আছে চমৎকার তাঁবু। সামনে মাঠ। চমৎকার সবুজ আউটফিল্ড। মাঠের দু’প্রান্তেই লালমাটির উইকেট। আন্তর্জাতিক ম্যাচ না থাকলে এই ফাউন্ডেশনের ছাত্ররা মোট তিনটি মাঠে অনুশীলন করার সুযোগ পায়। অর্থাৎ নেট প্র্যাকটিস ছাড়াও, যখন খুশি তখন ওদের মূল মাঠে ম্যাচ প্র্যাকটিস করারও সুযোগ থাকে। ভাল খেলার ইচ্ছে থাকলে এখান থেকেই কিন্তু উন্নতমানের ক্রিকেটার পেতে পারে মুম্বই। সেই লক্ষ্যেই শচীন কিন্তু এই অ্যাকাডেমির পিছনে সময় খরচ করে যাচ্ছেন। আজ সেখানেই ঘটা করে পালন করা হলো শচীনের জম্মদিন। আমরাও এই সুযোগে শচীন তেন্ডুলকারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম।